বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ব্যবহার করেন এনালগ ফোন (ফিচার ফোন)। তিনি এখনো স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে না পারায় তিনি সেটা ব্যবহার করতে পারেন না। তিনি বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো আমি বুঝতেই পারি না। এগুলো এখনো আমার কাছে আন নোয়িং (অপরিচিত)। এরপর প্যান্টের পকেট থেকে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বের করে তিনি বলেন, আমার মোবাইলটাও এনালগ। স্মার্টফোন না। স্মার্ট ফোন একটা টিপলে আর একটা আহে (আসে)।
বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ তলায় সাংবাদিক লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন এসে জানালেন ‘মহামান্য’ প্রেসিডেন্ট আসছেন আপনাদের লাউঞ্জে। এতে কেউ অবাক না হলেও সতর্ক হলেন সবাই। আগে থেকে না জানলেও অনেকটা যেনো প্রত্যাশিতই মনে হচ্ছিল সবার কাছে।
এরপর একান্ত আলাপচারিতায় মাতলেন কয়েক মিনিট। বোঝা গেল সাংবাদিক ও সংসদ কোনোটারই মায়া কাটাতে পারেননি আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট। তাই কিছুক্ষণের জন্যে হলেও সেই চিরচেনা সাংবাদিক লাউঞ্জে প্রবেশ করতে ভুলেননি তিনি।
প্রসঙ্গত: সংসদে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের বন্ধুত্ব বরাবরই উষ্ণ। যখন তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন, তখন এই বন্ধুত্ব আরো গাঢ় হয়। এখনো সময় পেলে প্রটোকলের গ-ি পেরিয়ে দেখা করেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাজেট উপস্থাপন দেখতে প্রেসিডেন্ট আজ সংসদে এসেছিলেন। এক ফাঁকে সাংবাদিক লাউঞ্জে এসে কিছুটা সময় কাটান তিনি। তিনি সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর নেন। জানতে চান ব্যক্তিগত কুশলাদি। এরপর ৪টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে যান সেখান থেকে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাচ্ছলে প্রেসিডেন্ট বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড আমি বুঝি না। আমি টেহাও (টাকা) জমা দেই চেকের মাধ্যমে। এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, স্যার সরকার তো ডিজিটাল। এ কথা বলার পর তিনি বলেন, আমি তো বাবা ডিজিটাল না, এনালগ।
এ সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে বলেন, আমার আগে জিল্লুর সাহেব শেষ করতে পারেন নাই, মারা গেছেন। আমি শুরু করেছি, মরার আগে করতে পারব কিনা?
নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পেসিডেন্ট বলেন, আমি যখন এখান থেকে (স্পিকারের পদ থেকে) যাই, তখন ছিলাম ৬৮ কেজি, এখন ৬৯ কেজি। এই এক কেজি বাড়ছে, খোঁয়াড়ের (নিরাপত্তা বলয়ে থাকা) মধ্যে থাকি তো। খোঁয়াড়ের মধ্যে থাকলে ওজন বাড়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।