রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ষষ্ঠ ধাপে কুমিল্লার মুরাদনগরের ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থানীয় ও বহিরাগত মাস্তানদের প্রভাবের কারণে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ না থাকার আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এক সপ্তাহ ধরে এসব মাস্তানের আনাগোনায় বেশির ভাগ ইউনিয়নে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ভোটের দিন কেন্দ্রগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন বিএনপি, জাপা, জাসদ ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ এসব ঘরানার মেম্বার প্রার্থীরা। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রভাবশালী প্রার্থীরা সাধারণ ভোটারের চেয়ে বেশি নির্ভর হয়ে পড়েছেন স্থানীয় ও বহিরাগত মাস্তানদের ওপর। তৃণমূল রাজনীতিতে মানুষের উচ্ছ্বাস কতটুকু তা ইউপি নির্বাচনের প্রচারণাতেই প্রকাশ পেয়ে থাকে। কিন্তু ভোটাধিকার প্রয়োগের সত্যিকারের জায়গাটি দখলে পরিণত হওয়ায় সত্যিকার তৃণমূল রাজনীতির কবর রচনা হচ্ছে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে। বিরোধী দলের লোকজন ভয়ে প্রার্থী হচ্ছেন না। আবার প্রার্থী হয়েও প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন। আবার মাঠে থাকলেও টিকে থাকতে পারছেন না। ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারছেন না। কিন্তু ভোট হয়ে যাচ্ছে। এমন চিত্র গত কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও দেখা গেছে। তারপরও মানুষ ভোট দিতে চায়। কেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষা করে। কিন্তু আতঙ্ক সায় দেয় না কেন্দ্রে যেতে। আগামীকাল শনিবার ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে কুমিল্লার আলোচিত উপজেলা মুরাদনগরের ২০ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের এ দিনটি উচ্ছ্বাসের না হয়ে আতঙ্কে রূপ নিচ্ছে মুরানগরের বিরোধী প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারের কাছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতে কয়েক দিন ধরে মুরাদনগরে বিভিন্ন ইউনিয়নে যে ধরনের তা-ব শুরু হয়েছে তার ফলশ্রুতিতে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। আর এমন আতঙ্কের মধ্যেই আগামীকাল শনিবার কুমিল্লার মুরাদনগরের ২০ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ ধাপের ভোটগ্রহণ। গেল পাঁচ ধাপে কুমিল্লার যেসব উনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে কমবেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আর সহিংসতায় মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ষষ্ঠ ধাপে সহিংসতার চিত্র যাতে ফুটে না ওঠে এ জন্য মুরাদনগরের সাধারণ ভোটাররা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন আগে থেকেই। নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন কঠোর হলেই কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ সৃষ্টি হবে এমন ধারণা সাধারণ ভোটারসহ বিএনপি ও অন্যান্য দলের প্রার্থীদের। তবে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা বলছেন সাধারণ ভোটাররা যাতে নির্বিঘেœ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এ জন্য ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছেন। ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগেই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা ও পুলিশ মুরাদনগরে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন। এমন অভিযোগ মুরাদনগর বিএনপির। তাদের অভিযোগ, মুরাদনগরে বিরোধী নেতাকর্মীদের তালিকা প্রস্তুত করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। মুরাদনগরে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পুলিশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছেন। স্থানীয় ও বহিরাগত মাস্তান এবং মাদকসেবীদের সঙ্গে চুক্তি করেছে প্রভাবশালী প্রার্থীরা। এসব মাস্তানদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে নেয়াসহ ভোট গনণার সময় রেজাল্ট পরিবর্তন করে নৌকার প্রার্থীদের পাস করানোর সব কৌশল নিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা। তারা সাধারণ ভোটারের পরিবর্তে নির্ভর হয়ে পড়েছে মাস্তানদের ওপর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।