মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে কড়া আল্টিমেটাম দিয়েছে ন্যাটো। আগামী আগস্ট মাসের আগে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস না করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে এ সামরিক জোট। মঙ্গলবার ন্যাটোর পক্ষ থেকে এ কড়া বার্তা দেয়া হয় খবর প্রকাশ করেছে তুরস্কের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ইয়েনি শাফাক। প্রতিবেদনে বলা হয়, ন্যাটোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ বিষয়ে আগামী বুধবার পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য আলোচনা করবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, যদি মস্কো তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ধরে রাখে, তাহলে ইউরোপকে পরমাণু হামলার স্বল্প সময়ের নোটিশ দেয়ার অনুমতি দেয়া হবে এবং ১৯৮৭ সালের অন্তর্বর্তী পরিসীমা পারমাণবিক চুক্তি (আইএনএফ) ভাঙা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, আমরা দায়িত্বশীল পথ বেছে নিতে রাশিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু রাশিয়া তা-ই করবে বলে কোনো আভাস দেখছি না। আমাদের প্রয়োজনে জবাব দিতে হবে। অপরদিকে, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাকযুদ্ধ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে বিপজ্জনক পরিণতির দিকে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো কিছু আক্রান্ত হলে ইরানের অংশবিশেষ ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে তার দেয়া নতুন অবরোধকে হোয়াইট হাউজের মানসিক ভারসাম্যতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ইরান। ইরানের সঙ্গে আলোচনার আহ্বান আসা সত্তে¡ও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু নতুন করে অবরোধ দেয়াকে কূটনৈতিক উপায়ের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে এমনটা বলা হয়েছে। ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার পরেও আলোচনার দরজা খোলা রেখেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসা উচিত ইরানের এবং কার্যকরভাবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহারের পথ করে নেয়া উচিত। তিনি সোমবার ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ও সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করেন। এ বিষয়ে তিনি একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে ইরানের ওপর শাস্তি বাড়াতে চেয়েছেন তিনি। এর আওতায় রয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফও। ইরানের ওপর আমেরিকার আরোপিত নয়া নিষেধাজ্ঞাকে ‘আশঙ্কাজনক’ আখ্যায়িত করে রাশিয়া বলেছে, এ নিষেধাজ্ঞা এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা একটি বিপজ্জনক পরিণতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। মালদ্বীপ সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সিনিয়র কর্মকর্তাদেরকে ব্যক্তিগতভাবে টার্গেট করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি বলেন, বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ২০০৩ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যখন আমেরিকা ইরাকে আগ্রাসন চালানোর জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিল। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সে সময় ওয়াশিংটন দাবি করেছিল, ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে গণ-বিধ্বংসী অস্ত্র আছে। কিন্তু পরবর্তীতে ইরাক দখলের পর এ ধরনের কোনো অস্ত্রই পাওয়া যায়নি। ল্যাভরভ বলেন, “আমরা সবাই পরিণতিটা জানি। ইয়ানি শাফাক, সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।