মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নগদ সাড়ে তিন কোটি পাউন্ড। তা নিয়েই ভারত-পাকিস্তানের আইনি লড়াই এ বার পৌঁছেছে সোজা লন্ডনের হাইকোর্টে। হায়দরাবাদের নিজাম পরিবারের রাখা অর্থ নিয়েই যাবতীয় টানাপড়েন দু’দেশের।
১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের সময়ে হায়দরাবাদের সপ্তম নিজাম ওসমান আলী খান আশঙ্কা করেছিলেন, তার বিপুল সম্পত্তি হাত ছাড়া হয়ে যেতে পারে। লন্ডনে পাকিস্তানের দূতের হাতে তখন তিনি ১০ লক্ষ পাউন্ড নগদ দিয়েছিলেন। যা ওই দূত লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখেন। সেই অর্থই এতদিনে সুদে-আসলে সাড়ে তিন কোটি পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।
এখন নিজামের দুই বংশধর ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে ওই অর্থ পেতে চাইছেন, যাতে বাধ সেধেছে পাকিস্তান সরকার। ভারত অবশ্য নিজামদের পক্ষই নিয়েছে। তারা চায়, নিজামের প্রকৃত বংশধরেরাই সেই অর্থ পান। যারা এই অর্থ দাবি করেছেন তারা হলেন, অষ্টম নিজাম এবং তার ভাই। অষ্টম নিজাম তুরস্কে থাকেন। দুই ভাইয়ের দাবি ভারত মেনে নিলেও পাকিস্তানের প্রবল আপত্তি রয়েছে ওই অর্থ তাদের হাতে তুলে দিতে।
এই অর্থ নিয়ে আইনি লড়াই এই প্রথম নয়। পঞ্চাশের দশকে নিজামেরা ওই অর্থ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে তুলে নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাক সরকার তখনই জানিয়েছিল, পাকিস্তানের মুসলিম সম্প্রদায়কে ওই অর্থ উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সপ্তম নিজাম। ফলে ওই অর্থ নিজামের বংশধরেরা কখনওই দাবি করতে পারেন না। ইসলামাবাদের সেই দাবি তখন মেনে নেন হাউস অব লর্ডসের লর্ড ডেনিং। তিনিও রায় দেন যে, ওই অর্থ লন্ডনেই থাকবে।
এর পরে, ২০১৩ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের স্ত্রী শেরি ব্লেয়ারকে ওই নগদ অর্থ উদ্ধারের পরামর্শ দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। তাদের দাবি ছিল, হায়দরাবাদ দখল করেই জাতিসংঘ আর ব্রিটিশ সরকারকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ভেঙে ফেলেছিল ভারত। ১৯৪৮ সালে নিজামদের রাজ্য দখল করে ভারত সরকার। পরবর্তী কালে নিজামদের সঙ্গে বন্ধুত্বও স্থাপন করে তারা। এখন আইনি লড়াইয়ে তাদেরই পক্ষে দিল্লি।
ব্রিটেনের রাজ পরিবারের সঙ্গেও সখ্য ছিল নিজামদের। রানি দ্বিতীয় এলিজ়াবেথের বিয়ের সময়ে বহুমূল্য হিরের দু’টি গয়না তাকে উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন সপ্তম নিজাম। আগামী ছ’সপ্তাহের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার কথা লন্ডন হাইকোর্টের। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।