পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপরিকল্পিতভাবে উবার চালক আরমান ওরফে আমানকে (৩৭) পেছন থেকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যাকান্ডের ঘটনায় খুনীরা এখনও অধরা। রাজধানীর উত্তরার মতো জনবহুল এলাকায় এ খুনের ঘটনা ঘটলেও গত ১৩ দিনে খুনীদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অথচ হত্যাকান্ডের পর সটকে পড়ে দর্বৃত্তরা।
মামলা তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পারেন, ওই রাতে চালকের কাছে উবারের একটি কল এসেছিল। যে নম্বর থেকে কলটি এসেছিল তার অবস্থান ছিল উত্তরায়। কিন্তু ওই কলে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে যাত্রী হিসেবে ওঠেন অন্য ব্যক্তি, তারা এক বা একাধিক হতে পারেন। পরে কল দেয়া নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে কলারকে ট্র্রেস করা যাচ্ছে না। তবে জড়িতদের শনাক্ত করতে প্রযুক্তির সহায়তা নেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তারা জানান।
ডিএমপির উত্তরের এডিসি (ডিবি) কাজী শফিকুল আলম বলেন, ওই ঘটনায় উত্তরা ১৪নং সেক্টরের সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তাতে স্পষ্ট কিছু মেলেনি। আবার যে নম্বর থেকে উবারের গাড়ির জন্য কল দেয়া হয়েছিল সেটিও বন্ধ। এখন পর্যন্ত মামলার তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই।
নিহত আরমানের খালাতো ভাই আরিফ হোসেন বলেন, আরমানের হঠাৎ মৃত্যুতে পুরো পরিবার এখন হতাশায় নিমজ্জিত। রাতারাতি পরিবারটির রাস্তায় বসার দশা। নয় বছরের ছেলে নাঈম আর এক বছরের শিশুকন্যা আফরিনকে নিয়ে স্ত্রী রাবেয়া বেগম এখন পাগলপ্রায়। তাদের একটাই আশা, আরমান হত্যার সঠিক বিচার যেন হয়। এছাড়া উবার কর্তৃৃপক্ষ যেন আরমানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন-এমন দাবিও তাদের।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক তদন্তের সাথে সংশ্লিস্ট পুলিশের একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমরা উবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তারা যে তথ্য দিয়েছে তাতে এটা স্পষ্ট হয় না যে, কতজন যাত্রী সেদিন গাড়িতে উঠেছিল। আবার যে মোবাইল নম্বর থেকে কল এসেছিল সেই কলার যাত্রী হিসেবেও ওঠেননি। এখানেই সন্দেহের অবতারণা। কারণ কলারের অবস্থান তখন রামপুরা এলাকায় ছিল না। অ্যাপসভিত্তিক পরিবহনসেবা উবারে কলার অন্য স্থানে থাকলেও তিনি কল দিয়ে অন্য যে কোনো স্থানের ঠিকানা দিয়ে সেখান থেকে যাত্রী তোলার অনুরোধ জানাতে পারেন। উবারচালক মনে করলে সেই ঠিকানা থেকে যাত্রী তুলে তার গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারেন। আরমানের ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছে। হত্যাকাÐের সাথে জড়িতরা খুবই ধূর্ততার সাথে কাজটি করেছে। ওই চক্রে পেশাদার লোকজন রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে গত ১৩ জুন রাত ১১টা ২১ মিনিটে উবারে কল পান চালক আরমান। কল পেয়ে যাত্রীর দেয়া ঠিকানায় উপস্থিত হন তিনি। কিন্তু উবারের ওই প্রাইভেটকারে সেদিন মূল যাত্রীর পরিবর্তে চড়েন অন্য যাত্রী। গন্তব্য উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টর। কিন্তু উত্তরা থেকে আর ফেরা হয়নি আরমানের। স্থানীয়দের খবরে গাড়ির মালিক জানতে পারেন আরমান মারা গেছেন। খবর দেয়া হয় পুলিশকে। উত্তরার ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের ৫২ নম্বর বাড়ির সামনে ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-৪৫৪৫ নম্বর গাড়ির ভেতর থেকে আরমানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নং- ১৬। মামলাটি এখন তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।