বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা রুটে চালু হয়েছে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। মুক্তাগাছার ভাবকির মোড় থেকে প্রতিদিন বাস চলবে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মোড়, কাচারি, পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, চরপাড়া হয়ে মাসকান্দা পর্যন্ত। ২০ কিলোমিটার এ পথের জন্য যাত্রীদের গুনতে হবে ২০ টাকা।
তিনটি বাস দিয়ে এ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হলেও মূলত এ রুটে চলচল করবে ১৬ টি বাস। মূলত এটিই হবে ময়মনসিংহ ও মুক্তাগাছাবাসীর জন্য একমাত্র গণপরিবহণ।
তবে এ বাস সার্ভিসে ফাও বা বিনা পয়সায় পরিবহণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কাজী খলিদ বাবু। ঘাটের পয়সা খরচ করে টিকেট কেটে স্থানীয় যাত্রীরা যেন বাসে চড়েন সেজন্য তাদের উৎসাহিতও করেছেন তিনি। মন্ত্রী নিজে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাস সার্ভিস যাত্রায় শরীক হয়েছেন। সাধারণ যাত্রীর মতই তিনি নিজ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহ এসেছেন আবার মুক্তাগাছাও ফিরে গেছেন। পরে প্রতিমন্ত্রী তিনটি বাস ভাড়া বাবদ ১২ হাজার টাকা নিজেই পরিশোধ করেন।
এসব ঘটনাপ্রবাহ ছিলো মঙ্গলবারের (২৫ জুন)। এদিন বেলা ১১ টার দিকে টাউন সার্ভিসের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী।
গণপরিবহন সংকট ও ভাড়া কম থাকায় এ বিআরটিসি বাস সার্ভিস স্থানীয় জনসাধারণের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। নি¤œবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নমধ্যবিত্ত নাগরিকরা এ বাস সার্ভিসমুখী হবেন বলেও প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে সাধারণ যাত্রীরা বলছেন, প্রথম দিকে প্রতিটি বাস সার্ভিসের মানই ভাল থাকে। কিন্তু কিছু দিন গেলে সার্ভিসের সেবার মান খারাপ হয়ে যায়। এ দিক দিয়ে যদি দৃষ্টি রাখা যায় ও ধারাবাহিকভাবে যদি বাস বাড়ানো যায় এবং গন্তব্যে পৌঁছতে যদি সময় কম লাগে তাহলে অবশ্যই এ সার্ভিসটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিবে না।
জানা যায়, ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল মহাসড়কটি অনেকটাই। ময়মনসিংহ শহর থেকে মুক্তাগাছা উপজেলার দুরুত্ব ২০ কিমি কিন্তু এ সড়কটি বেশ ঝুঁকি পূর্ণ। যদিও সড়কটি প্রশস্ত করণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এ সড়কে দূরপাল্লার বাস ছাড়া কোন লোকাল বাস চলাচল করেনা।
ফলে স্থানীয় জনসাধারণকে বাধ্য হয়েই সিএনজি চালিত অটোরিকশার ওপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সরু সড়ক হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুরুদুরু বুকে আতংক নিয়ে এখানে যাত্রীদের চলাচল করতে হয়। এ বিআরটিসি সার্ভিস জনপ্রিয়তা পেলে মৃত্যু হাতে নিয়ে যাত্রীদের যাতায়াতের পথটি বন্ধ হবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
উদ্বোধনী যাত্রাকালে মাহমুদ হাসান নামে এক যাত্রী বলেন, আগে সিএনজি দিয়ে ময়মনসিংহ শহরের টাউনহল পর্যন্ত যেতে ৩০ টাকা গুনতে হতো। এখন মাত্র ২০ টাকা দিয়েই এর চেয়ে বেশী পথ যেতে পারবো। এছাড়াও আমার গন্তব্য যেখানে সেখানেও নামতে পারবো। আমরা এ সার্ভিসে খুবই খুশী এবং যেন আরও বেশী বাস আমাদের এই রুটে দেওয়া হয় সেই দাবিও জানাই।
রবিন নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, এখন থেকে সিএনজির জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। স্বল্প সময় আর স্বল্প খরচেই এর মাধ্যমে আমরা যাতায়াত করতে পারবো। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা কমবে।
বাস সার্ভিসটি উদ্বোধন করতে গিয়ে ফাউ ভাড়ায় না চড়ার আহবান জানিয়ে কেএম খালিদ বলেন, আমি ছাত্র, আমি সরকারি চাকরিজীবী, যুবলীগ করি, ছাত্রলীগ করি এসব বলে ভাড়া অর্ধেক দিবেন, এই অপকর্ম করা যাবে না এখানে। প্রত্যেকের পকেটে হাত দিলে দেখবেন ২০ হাজার টাকা দামের মোবাইল আছে। তাহলে এখানে বিশ টাকা দিতে সমস্যা কি, প্রশ্ন রাখেন প্রতিমন্ত্রী ।
তিনি বলেন, আমরা যেন এই বাসটার রক্ষণাবেক্ষণ করি। এই সার্ভিসটি টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনার আমার সকলের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।