Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গা সঙ্কটে আসিয়ান ফের সমর্থন দিলো মিয়ানমারকে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সামষ্টিকভাবে চাপ প্রয়োগ না করে মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন আসিয়ান নেতারা। তবে রোববারের সম্মেলনে কয়েকটি দেশ রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল। সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিও। এক বিবৃতিতে আসিয়ান নেতারা জানান, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখছি।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিগত নিধনের ভয়াবহ বাস্তবতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখনও সেখানে থেকে গেছে। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে আখ্যা দেয়।
মিয়নামারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে সেনবাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আসিয়ান নেতাদের আহ্বান জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু উল্লেখ করে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়া থেকে বিরত রয়েছে আসিয়ান।
প্রত্যাবাসন নিয়ে আসিয়ানের মানবাধিকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় বিষয়ক কেন্দ্রের একটি প্রতিবেদনে করা সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন দক্ষিণ-প‚র্ব এশিয়ার নেতারা।
ব্যাংককে আসিয়ান সম্মেলনের পর যৌথ এক বিবৃতিতে দেশগুলো জানায়, ‘রাখাইনে সব সম্প্রদায়ের যথাসম্ভব কার্যকর, স্বেচ্ছামূলক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি আমাদের অব্যাহত সমর্থনে পুনরায় জোর দিচ্ছি।
এর আগে রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টিতে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আর সম্মেলন শেষে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের বিষয়টি উত্থাপন করেছি। তাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলতে হবে। কারণ তারা রাখাইনে ফিরে যেতে ভীত কি না তা জানা জরুরি। আমরা আশা করি রোহিঙ্গারা যখন মিয়ানমার ফিরে যাবে সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তদারকি করবে এবং রাখাইন ও মিয়ানমারে যাতে তারা শাস্তির মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করবে।



 

Show all comments
  • Emran Morshed ২৫ জুন, ২০১৯, ১১:০৯ এএম says : 0
    Myanmar smartly using ASEAN , unfortunately our SAARC is a dead horse and none of our neighbours supporting Bangladesh
    Total Reply(0) Reply
  • Jonab Kornell ২৫ জুন, ২০১৯, ১১:১০ এএম says : 0
    আরবে দেশগুলো রহিঙ্গাদের সাহায্য করতে পারে। তাদের তো অনেক বিদেশী কর্মী লাগে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Masud Howlader ২৫ জুন, ২০১৯, ১১:১৪ এএম says : 0
    আসিয়ানদের মধ্যে কি আদৌ মনুষত্ব বলে কিছু আছে ?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Abul Khair ২৫ জুন, ২০১৯, ১১:১৬ এএম says : 0
    এই দুবছরে জনসংখ্যা বাড়বে আরও দুলাখ। একমাত্র পথ বাকি জাতিসংঘের শান্তি সেনা মোতায়েন করে নিরাপদ এলাকা ঘোষণা করে দ্রুত শরনাথী' প্রত্যাপনের ব্যাবস্থা নেওয়া অন্যথায় তাদের সশস্র প্রশিক্ষন এবং সব' প্রকার লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে তাদের অধিকার তাদেরই আদায় করতে আরাকান পাঠানো।
    Total Reply(0) Reply
  • Nizam Uddin ২৫ জুন, ২০১৯, ১১:১৭ এএম says : 0
    kisu bolar nai
    Total Reply(0) Reply
  • kuli ২৫ জুন, ২০১৯, ৮:৩৩ পিএম says : 0
    Military attack is the only solution.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ