মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও নাগরিকত্ব নিশ্চিতে সামষ্টিকভাবে চাপ প্রয়োগ না করে মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন আসিয়ান নেতারা। তবে রোববারের সম্মেলনে কয়েকটি দেশ রোহিঙ্গাদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হয়েছিল। সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিও। এক বিবৃতিতে আসিয়ান নেতারা জানান, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে আমরা মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখছি।’
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ৭ লাখেরও বেশি মানুষ। জাতিগত নিধনের ভয়াবহ বাস্তবতায় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বড় অংশটি বাংলাদেশে পালিয়ে এলেও জাতিসংঘের হিসাবে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখনও সেখানে থেকে গেছে। জাতিসংঘ এই সামরিক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞ’ বলে আখ্যা দেয়।
মিয়নামারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে সেনবাহিনীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আসিয়ান নেতাদের আহ্বান জানিয়ে আসছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তবে রোহিঙ্গা সঙ্কটকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু উল্লেখ করে এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়া থেকে বিরত রয়েছে আসিয়ান।
প্রত্যাবাসন নিয়ে আসিয়ানের মানবাধিকার ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় বিষয়ক কেন্দ্রের একটি প্রতিবেদনে করা সুপারিশ অনুযায়ী কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন দক্ষিণ-প‚র্ব এশিয়ার নেতারা।
ব্যাংককে আসিয়ান সম্মেলনের পর যৌথ এক বিবৃতিতে দেশগুলো জানায়, ‘রাখাইনে সব সম্প্রদায়ের যথাসম্ভব কার্যকর, স্বেচ্ছামূলক ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের অঙ্গীকারের প্রতি আমাদের অব্যাহত সমর্থনে পুনরায় জোর দিচ্ছি।
এর আগে রোহিঙ্গা সঙ্কট সৃষ্টিতে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে হবে। আর সম্মেলন শেষে মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদ রোহিঙ্গাদের সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের বিষয়টি উত্থাপন করেছি। তাদের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলতে হবে। কারণ তারা রাখাইনে ফিরে যেতে ভীত কি না তা জানা জরুরি। আমরা আশা করি রোহিঙ্গারা যখন মিয়ানমার ফিরে যাবে সেখানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তদারকি করবে এবং রাখাইন ও মিয়ানমারে যাতে তারা শাস্তির মুখোমুখি না হয় তা নিশ্চিত করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।