Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউএনওর সেলফোন নম্বর ক্লোন করে অভিনব প্রতারণা

চৌগাছা (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলামের মোবাইল ক্লোন করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মোবাইলে কল করে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ০১৭৮৫৪২৮৬২২ নম্বর থেকে এক মাদ্রাসা সুপারের নিকট কল করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরিচয় দিয়ে প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ দেয়া হবে বলে ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র।

উপজেলার দর্গাপুর ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা রবিউল ইসলাম বলেন, চৌগাছা কামিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ আমার মোবাইলে কল করে ০১৭৮৫৪২৮৬২২ নম্বরটি দিয়ে বলেন, নম্বরটি চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম স্যারের।

তিনি তোমার সাথে কথা বলতে চান কল কর। আমি ওই না¤া^ারে কল করার সাথে সাথে তিনি বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলছি। আপনার প্রতিষ্ঠানে ১১টি ল্যাপটপ দেয়া হবে। আপনি প্রতিটি ল্যাপটপের জন্য ৭ হাজার করে টাকা এ নম্বরে বিকাশ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম স্যারের কথা বলায় আমি দেরি না করে সলুয়া বাজারে গিয়ে একটি বিকাশের ঘর থেকে ৭১৪০ টাকা বিকাশ করি। পরে আবারো একই নাম্বার থেকে কল করে বলা হয় আপনি দেরি করছেন কেন, বাকি ১০ টার টাকা দেন। পরে আমি চৌগাছা বাজার হাসিব ইলেট্রিক থেকে ৭১৪০০ টাকা বিকাশ করি।

জানা যায়, গত ১১ জুন চৌগাছার বর্তমান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঝিকরগাছা উপজেলা থেকে চৌগাছায় যোগদান করেন। গত শনিবার থেকে ০১৭৮৫৪২৮৬২২ নম্বর মোবাইল হতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট ফোন করে বলা হয়, আমি ইউএনও জাহিদুল ইসলাম বলছি, আপনার প্রতিষ্ঠানে একটি ল্যাপটপ দেয়া হবে। আপনি ০১৮২২৭৩৭৯৩৩ নম্বরে দ্রুত সাত হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এভাবে কারো নিকট পাঁচ হাজার টাকা, কারো নিকট ছয় হাজার টাকা দাবি করে আসছিল। বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানালে তিনি তাদের কাউকে এ ধরনের প্রতারণার ফাঁদে না পড়ার আহবান জানান।

এদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে ইউএনওর সিএ মহিউদ্দিন নিজে ০১৭৮৫৪২৮৬২২ নম্বরে ফোন দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পরিচয় দিয়ে ল্যাপটপ চাইলে তাকেও ০১৮২২৭৩৭৯৩৩ নম্বরটিতে দ্রুত ৭ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিতে বলে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, একটি চক্র আমার নাম বলে তাদের মোবাইল নাম্বার থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিকট টাকা দাবি করেছে। আমি তাদেরকে সতর্ক করেছি এমন প্রতারণার ফাঁদে না পড়তে। তবে সুপার সাহেব কিভাবে যে প্রতারণার ফাঁদে পা দিলেন বুঝলাম না। আজ সোমবার আমি ওই সুপারকে বিকাশে ব্যবহৃত নম্বরগুলো নিয়ে আমার অফিসে আসতে বলেছি। বিষয়টি চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজিবকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানিয়েছি।

উল্লেখ্য, এর আগেও চৌগাছা থেকে বদলি হয়ে যাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলম চৌগাছায় যোগদানের পরপরই তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ক্লোন করে একটি চক্র এভাবে বিভিন্ন জনের কাছে প্রতারণা করেছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রতারণা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ