বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মধ্যরাতে ন্যাশনাল ইমারজেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে চমকে ওঠে পুলিশ। মোবাইলের অপরপ্রান্ত থেকে এক যুবক পুলিশকে জানান ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয় পুলিশ। পৌঁছে দেখে ঘটনা সত্য। হয়তো ওই যুবক সময়মতো ফোন না দিলে আরও অনেক প্রাণহানি ঘটে যেত।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বরমচাল সেতু ভেঙে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পরপরই ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন শাহান মিয়া। পুলিশকে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযানে নামে পুলিশ। শাহান মিয়ার বাড়ি কুলাউড়ার আকিলপুর গ্রামে। তিনি কুলাউড়া ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।
ট্রেন দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শাহান মিয়া বলেন, বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। বরমচাল সেতুর অনেকটা দূরে থাকতে হঠাৎ বিকট শব্দ কানে আসে। সেই সঙ্গে ভেসে আসে মানুষের কান্না, চিৎকার। দূর থেকে তাকিয়ে দেখি বরমচাল সেতু ভেঙে ট্রেনের কয়েকটি বগি নিচে পড়ে আছে। কাছে যেতেই মানুষের কান্নার আওয়াজ আরও জোরে শুনতে পাই। ঘটনার ২-৩ মিনিটের মধ্যেই আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেই, সঙ্গে সঙ্গে রিসিভ হয়। তখন পুলিশকে পুরো ঘটনা খুলে বলি। যদি পুলিশ সময়মতো না আসতো আরও অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটতো।
তিনি আরও বলেন, বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন সেতুতে হঠাৎ ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই কয়েক জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় লাইনচ্যুত বগির যাত্রী ছাড়াও মারাত্মক ঝাঁকুনিতে অন্যান্য বগির অন্তত দুই শতাধিক যাত্রী আহত হন। ঘটনাস্থলে এসে আহতদের উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উয়ারদৌস হাসান বলেন, রাত ১২টার কিছুক্ষণ আগে এক ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর জানায়। এত রাতে বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনার খবর শুনে আমরা অবাক হই। সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই। সেখানে পৌঁছে ৬ জনের লাশ এবং অন্তত দুই শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পরপরই ওই যুবক ৯৯৯ নম্বরে ফোন না দিলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
ওসি আরও বলেন, ইতোমধ্যে উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হতাহতদের উদ্ধারে কাজ করেছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি। ট্রেনের অন্য যাত্রীদেরও নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।