বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেট থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। বরমচাল রেলক্রসিং এলাকায় ট্রেনটি একটি ব্রিজে লাইনচ্যুত হয়ে এর বেশ কয়েকটি বগি নিচে ছিটকে পড়ে অন্তত ৭জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, নিহতের সংখ্যা ১০ ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ২৫০ জনেরও বেশি যাত্রী। রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পর সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। একই সাথে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাস যোগাযোগ বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মৌলভীবাজার ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মজিবুর রহমান রাত দেড়টার দিকে জানিয়েছিলেন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছেন তারা। প্রাথমিকভাবে পাঁচটি বগি ছিটকে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সারারাত উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় হাজারো মানুষ।
অন্যদিকে ঘটনাস্থলে প্রায় শুরু থেকে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কুলাউড়া শাখার ইনচার্জ অপেন কুমার সিং। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত ৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সারওয়ার আলম জানান, তারা বিভিন্ন মাধ্যমে চারজনের মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন, যার মধ্যে তিনজন নারী ও একজন পুরুষ রয়েছেন।
এর আগে, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী ও দুইজন পুরুষ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এসপি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে বিজিবিও। মৌলভীবাজারের ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটসহ মোট ১০টি ইউনিট উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর প্রথমে স্থানীয়রাই আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কাজে যোগ দেয় বিভিন্ন বাহিনী। তবে আলোর স্বল্পতার কারণে বগি যে দিকে উল্টে পড়েছে সেইদিকে পুরোপুরিভাবে উদ্ধার কাজ চালানো যাচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
ঘটনাস্থল থেকে কুলাউড়া উপজেলার চেয়ারম্যান এ.এক.এম সফি আহমদ (সলমান) জানান, নিহতদের মধ্যে কেবল এক নারীর পরিচয় জানা গেছে। তিনি কুলাউড়ার সাবেক পৌর মেয়রের ভাই আব্দুল বারির স্ত্রী। বাকীদের পরিচয় পাওয়া যায় নি।
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে ছিলেন জৈন্তাপুর ইমরান আহমদ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শাহেদ আহমদ। তিনি বলেন, কুলাউড়ার বরমচাল স্টেশন সংলগ্ন একটি ব্রিজে ওঠার পর হঠাৎ ট্রেনের পাঁচটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে খালে পড়ে যায় এবং একটি বগি উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলে কয়েকজনের মৃত্যুর খবর শুনেছেন তারা। এছাড়া লাইনচ্যুত বগির মারাত্মক ঝাঁকুনিতে অন্তত ২৫০ যাত্রী আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানিয়েছে, কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬০ জন। পাশাপাশি এই দুর্ঘনায় আহত আরও ২০ জন সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে বলেও জানায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।