পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয়ের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ক্রয়নীতি অনুসরণ করার জন্য ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। গত বৃহষ্পতিবার (২০ জুন) লন্ডনে ফ্রিডম ফান্ড আয়োজিত এক আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষে এ আহ্বান জানান ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ এ্যাপারেল একচেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন।
অন্যান্যদের মধ্যে ওইসিডি’র দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক নীতিমালা বিভাগের নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা জেনিফার স্ক্যাপের্ট এবং হিউম্যান রাইট্স ওয়াচের নারী অধিকার বিভাগের সিনিয়র পরামর্শক অরুণা কাশ্যপ ‘ ডাউনওয়ার্ড প্রেসার : রিফরমিং দ্যা এ্যাপারেল সেক্টর বাই ট্যাকলিং পারচেসিং প্রাকটিস’ শীর্ষক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সিএন্ডএ ফাউন্ডেশনের সাপ্লাই চেইন ইনোভেশন ও ট্রান্সফরমেশন এর প্রধান জিল টুকার সভা সঞ্চালনা করেন।
দায়িত্বশীল ক্রয় নীতিমালা চর্চার অনুপস্থিতির কারণে বাংলাদেশের পোশাক কারখানাসমূহ কিভাবে ভোগান্তির শিকার হয় তার একটি বাস্তবিক উদারণ তুলে ধরে মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, পশ্চিমা বিশ্বে দায়িত্বশীল ক্রয় নীতিমালা অনুসরণের ব্যপারে ক্রেতাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোন আইনগত কাঠামোর না থাকায় ক্রেতারা নৈতিক ক্রয়নীতি অনুরণ না করেই ব্যবসা করছেন।
ওইসিডি অথবা জাতিসংঘের নীতিমালা মেনে চলার পাশাপাশি নিজস্ব অভ্যন্তরীণ উপযুক্ত ক্রয়রীতি অনুসরণ করার ব্যপারে ব্যান্ডসমূহের একটি নৈতিক দায়িত্ব রয়েছে বলে জেনিফার স্ক্যাপের্ট অভিমত ব্যক্ত করেন।
অরুণা কাশ্যপ বলেন, পোশাকের ক্রয়মূল্য নির্ধারণের সময়ও ক্রেতারা ক্রয় নীতিমালার প্রতিটি বিষয় পোশাক সরবরাহকারী কারখানাসমূহের কাঁধে চাপিয়ে দেন। কিন্তু পণ্যের ফেয়ার প্রাইস বা যথার্থ মূল্য দেয়ার ব্যপারে তাদের মধ্যে মৌলিক প্রতিশ্রুতির ঘাটতি পরিলক্ষিত হয়। এ বিষয়টি মোকাবিলা ও পরিবর্তন করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।