পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আসন্ন ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ২০ রমজানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাসসহ সকল বকেয়া পরিশোধের দাবি জানিয়েছে জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এবং গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠন ২টি আলাদা বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এই দাবি জানায়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গার্মেন্টস শ্রমিকরা সবসময়ই নির্যাতিত। কারণ, অতীতে দেখা গেছে সব উৎসবের আগে মালিকরা নানা অজুহাতে তাদের ঠকান। অনেক সময় ঈদ বোনাস ও বকেয়া বেতন দিতে দেরি করেন বা কখনও ঈদের পরেও দেন। সুযোগ পেলে না দেওয়ারও পায়তারা করেন। একজন শ্রমিক আশায় থাকেন অন্যদের মতো তিনিও তার কর্মক্ষেত্র থেকে বেতন-বোনাস পাবেন ঈদের আগেই। মেটাবেন পরিবারের প্রয়োজনীয় চাহিদা। কিন্তু দেখা যায়, ওই কর্মীকে ঈদের আগে আন্দোলন করতে হয় বেতন বোনাসের জন্য। তাই আমরা গার্মেন্টস মালিকদের প্রতি অনুরোধ করবো, শ্রমিকদের শ্রমেই আপনার প্রতিষ্ঠান চলে। তাদের সঙ্গে অন্যায় করবেন না। তাদের ঈদ বোনাসসহ সকল বকেয়া আগামী ২০ রমজানের মধ্যে পরিশোধ করুন।
গার্মেন্টস কর্মী নাসিমা আক্তার বলেন, আমরা কর্মীরা সারাবছর অধীর আগ্রহে থাকি দুটি ঈদে অন্যান্যদের মতো পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস পাবো বলে। কিন্তু মালিকরা ঈদের নানান অজুহাত আমাদের সেই বোনাস না দেওয়ার পায়তারা করেন। কখনও চাপের মুখে একদম শেষ সময় গিয়ে দেন বা কখনও ঈদের পরে দেন। আমরাও তো মানুষ, আমাদেরও ইচ্ছে হয় অন্যান্যদের মতো আনন্দে ঈদ কাটাতে। ইচ্ছে হয় সন্তানকে একটি নতুন জামা কিনে দিতে। কিন্তু আপনাদের চতুরতায় সেটি সম্ভব হয় না। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ করবো, সকল কর্মীদের পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস ও সকলে বকেয়া ২০ রোজার মধ্যে পরিশোধ করবেন।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফা আক্তার, কেন্দ্রীয় নেতা মো. রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. কবির হোসেন। অন্যদিকে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান শামীম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুস সালাম বাবুল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।