পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সঙ্কটে নিমজ্জিত শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে কন্টেইনার ও জাহাজ জটের ধাক্কা লেগেছে দেশের আমদানি-রফতানিতে। চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আমদানি-রফতানির একটি অংশ হয় কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে। আর্থিক দুরাবস্থায় কলম্বো বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং স্থবির হয়ে পড়েছে। এর ফলে ট্রান্সশিপমেন্ট ওই বন্দরটিতে ভয়াবহ কন্টেইনার ও জাহাজ জটের সৃষ্টি হয়েছে।
সেই জটে পড়ে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে বাড়তি সময় লাগছে ৪-৫ দিন। একইভাবে রফতানিতেও লাগছে বেশি সময়। অব্যাহত এ জটের কারণে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের নৌবাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে শতভাগ রফতানিমুখী পোশাক শিল্প মালিকেরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গতকাল বুধবার ইনকিলাবকে বলেন, করোনার ধকল কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এর মধ্যেই শুরু হয়েছে কলম্বো বন্দরের ভয়াবহ জট। সব মিলিয়ে পোশাক শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। কলম্বো বন্দরের জটের কারণে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে তৈরি পোশাকের চালান পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি ৫ থেকে ৬ দিন লেগে যাচ্ছে। তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। এর ফলে পোশাক খাতে নতুন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যথাসময়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় অর্ডার বাতিলের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কলম্বো বন্দরের জট দীর্ঘায়িত হলে বাংলাদেশের আমদানি-রফতানি সঙ্কটের মুখে পড়বে। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে সময়মতো পণ্য পৌঁছানো সম্ভব হবে না। আমদানিকৃত পণ্য আসতেও হবে বিলম্ব। এতে উৎপাদনও ব্যাহত হবে। বেড়ে যাবে উৎপাদন এবং রফতানি ব্যয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমদানি-রফতানিকারকদের অনেকে চট্টগ্রাম-কলম্বোর বিকল্প রুট খুঁজছেন।
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্যের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং রফতানির প্রায় ৪০ শতাংশ হয়ে থাকে কলম্বো বন্দর ব্যবহার করে। চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার ড্রাফটের বড় কন্টেইনার জাহাজ ভিড়তে পারে না। এখান থেকে ফিডার (মাঝারি আকারের) জাহাজে করে কলম্বো, সিঙ্গাপুর, পোর্ট কেলাং ও তানজুম-পেলিপাস বন্দরে কন্টেইনার নেয়ার পর সেখানে অবস্থানরত মাদার ভেসেলে বোঝাই করে আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলোতে পাঠানো হয়। আমদানিও হয় একইভাবে। সিঙ্গাপুর বন্দরের চেয়ে কলম্বো হয়ে পণ্য পরিবহণে সময় তিন-চার দিন কম লাগে। তাই এ রুটটিতে আমদানি-রফতানিকারক ও শিপিং এজেন্টদের আগ্রহ বেশি। চট্টগ্রাম থেকে রফতানি পণ্য কলম্বো বন্দরে পৌঁছাতে এবং খালাসের পর পুনরায় সেখানকার মাদার ভেসেলে লোড করতে সাধারণত ৮-৯ দিন সময় লাগে। কন্টেইনার জটের কারণে বর্তমানে এ কাজে আরও ৪-৫ দিন সময় বেশি লাগছে।
শিপিং লাইন সংশ্লিষ্টরা জানান, কলম্বো বন্দরে জ্বালানি সঙ্কটের কারণে কন্টেইনার মুভার চলাচল অর্ধেকের নিচে নেমে এসেছে। এর ফলে কন্টেইনার ওঠানামা অনেক কমে গেছে। পরিস্থিতির কবে নাগাদ উন্নতি হবে তা এখনও অনিশ্চিত। এ অবস্থায় কলম্বো বন্দরকে এড়িয়ে সিঙ্গাপুর কিংবা ভারতের বন্দর দিয়ে পণ্য রফতানির চিন্তা করছেন রফতানিকারকেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।