পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
রোজার মাসের পর রাজধানীর প্রায় সব বাজারগুলোতেই সবজির দাম ছিল স্বস্তিদায়ক। অনেক ক্ষেত্রে সবজিভেদে দামও কিছুটা কমে। কিন্তু একদিনের ব্যবধানেই বাজারে দেখা যায় ব্যাপক পার্থক্য।
গতকাল ক্রবার মাছ ও গোশতের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, যা গতকাল ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা। গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজির মধ্যে বিক্রি হওয়া ঝিঙ্গার দাম বেড়ে হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
দাম বাড়ার এই তালিকায় আরও রয়েছে- করলা, কাকরল, পটল, উসি, বেগুন, গাজর, শসা, পেঁপে। গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া উসি বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে পটল। গতকাল বিভিন্ন বাজারে পটল ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হয়।
গতকাল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া করলার দাম বেড়ে হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, যা গতকাল ছিল ২০ থেকে ৩০ টাকা। বেগুনের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে।
এছাড়া গতকাল ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পেঁপের দাম বেড়ে হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে হয়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে গাজর। পাকা টমেটো পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে, যা গতকাল ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।
একদিনের ব্যবধানে সবজির এমন দাম বাড়ার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুক্রবার হওয়ার কারণে সবজির দাম কিছুটা বেশি। তবে সার্বিকভাবে রোজার মাসের তুলনায় এখন সবজির দাম তুলনামূলক কম। যেসব সবজি শুক্রবার ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, শনিবারেই বেশিরভাগ ২০ টাকায় বিক্রি হবে।
সবজির দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম। পেঁয়াজ আগের মতো খুচরা বাজারে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর পাইকারিতে পেঁয়াজের পাল্লা (৫ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। আগের মতোই কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা।
এদিকে রোজার মাসের তুলনায় কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি, যা রোজার মাসে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা ছিল। মুরগির দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির গোশত এবং ডিমের দাম। গরুর গোশত বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫২৫ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি দরে। আর খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮৫০ টাকা কেজি। আর ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৬ টাকা।
এদিকে কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া মাছের দাম এখনও বেশ চড়া। তেলাপিয়া মাছ আগের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। রুই মাছ ২৮০ থেকে ৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।