মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের গুজরাটে ২০০২ সালে ভয়াবহ মুসলিম-বিরোধী দাঙ্গায় দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও গুজরাট রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা ফাঁসকারী এক শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন দন্ড দেয়া হয়েছে। সঞ্জিব ভাট নামে ওই কর্মকর্তাকে ৩০ বছর পুরোনো এক খুনের মামলায় এই সাজা দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। সঞ্জিব ভাট গুজরাট দাঙ্গার পর অভিযোগ করেছিলেন, তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদি সরকারী কর্মকর্তাদের বলেছিলেন, মুসলিমদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে হিন্দুদের। ওই দাঙ্গায় ১ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন মুসলিম। তবে মোদি সবসময়ই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। সঞ্জিব ভাট যেই মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন সেটি ১৯৮৯ সালের একটি মামলা। পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি তখন ওই দাঙ্গায় সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহে ১৫০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে আটক করেছিলেন। কিন্তু এদের একজন মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতালে মারা যান। ওই ব্যক্তির পরিবার দাবি করেন, ভাট ও অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্যাতনের কারণেই তিনি মারা যান। সঞ্জিব ভাটের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবনের আদেশ দিয়েছে গুজরাট রাজ্যের একটি নিম্ন আদালত। তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। সঞ্জিব ভাট ও তার পরিবার অবশ্য বহুদিন ধরে দাবি করছেন যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার কারণেই সরকার তাকে টার্গেট করেছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ আবার বলছে, মোদিকে ফাঁসাতে প্রমাণ বিকৃত করেছিলেন সঞ্জিব ভাট। ২০০২ সালে ট্রেনে করে যাওয়ার পথে আগুনে নিহত হয়েছিলেন ৬০ জন হিন্দু পুণ্যার্থী। এরপরই দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা পাওয়ার পর সেটিই ছিল ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দাঙ্গা। ট্রেনে আগুন লাগার কারণ কখনই জানা যায়নি। কিন্তু হিন্দু গোষ্ঠীদের অভিযোগ, ওই আগুন দিয়েছে মুসলিম প্রতিবাদকারীরা। যদিও পূর্বেকার তদন্তে বলা হয়, ট্রেনে আগুন লেগেছে দুর্ঘটনাক্রমে। ওই ঘটনার সময় গুজরাট পুলিশের তদন্ত ব্যুরোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন সঞ্জিব ভাট। তার বক্তব্য, ওই পদে থাকায় দাঙ্গার আগে ও দাঙ্গার সময় প্রচুর তথ্য ও গোয়েন্দা তথ্য দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। তখন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ভূমিকাও তিনি জানতে পেরেছিলেন। কিন্তু ২০১১ সালে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সঞ্জিব ভাটকে। ২০১৫ সালে তাকে পুরোপুরি বরখাস্ত করা হয়। ২০১১ সালে অবশ্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ওই দাঙ্গায় সম্পৃক্ততার অভিযোগ থেকে মোদিকে রেহাই দেয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।