মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে এক কোটি ৮০ লাখ ইউরো (প্রায় ১৭২ কোটি টাকা) সহায়তা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিনিধি তোমো হোজুমি। ইউনিসেফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তোমো হোজুমি জানান, কক্সবাজার জেলার গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেয়া এই অর্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয়দাতা স্থানীয়দের জীবনে স্থিতিশীলতা আনতে ব্যয় করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়ন ও ইউনিসেফের তিন বছর মেয়াদি প্রকল্পের আওতায় পুষ্টি, পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি, শিক্ষা এবং শিশু সুরক্ষার মধ্যে সমন্বয় গড়ে তোলার মাধ্যমে উপকৃত হবে দুই লাখ শিশু ও পরিবার।
তিনি জানান, এ অর্থ দিয়ে টেকনাফ ও পেকুয়া উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল সরঞ্জাম কেনা হবে। পাশাপাশি সাতটি বহুমুখী শিশু কিশোর কেন্দ্র নির্মাণ এবং তিনটি তথ্য ও প্রতিক্রিয়া কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। এছাড়া এ অর্থ দিয়েই এক হাজার ৫০০ কিশোর-কিশোরীকে দেয়া হবে দক্ষতা প্রশিক্ষণ। পাশাপাশি ১৫টি কমিউনিটিভিত্তিক শিশু সুরক্ষা কমিটি গঠন করা হবে। তিনি আরও জানান, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এখনও সংকটময় রয়েছে। কারণ কক্সবাজারে প্রায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস, যাদের ৩৩ শতাংশের অবস্থানই দারিদ্র্যসীমার নিচে। শিক্ষাসূচক দেশে সর্বনিু।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্তির হার ৫৫ শতাংশ এবং ৫০ হাজার শিশু শ্রমের সঙ্গে যুক্ত। সঠিক পুষ্টি ও যত্নের অভাবে এখানকার প্রতি দুটি শিশুর একটি খর্বাকৃতির হচ্ছে। এছাড়া মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা ও ভূমিধসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে কক্সবাজার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ। তাই জেলার ১২ লাখ মানুষের মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। সংবাদ সম্মেলনে ইইউ’র বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত রেন্সজে তিরিঙ্ক বলেন, শরণার্থী সংকটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সবার ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে আমাদের কার্যক্রম আরও ভালোভাবে পরিচালনা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।