বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন,ধানের দাম নিয়ে আমরা অস্বস্তির মধ্যে আছি। এ জন্য চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, ফিলিপাইন থেকে ৩-৪ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানির কথা চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ১৭টি দফতর ও সংস্থার সঙ্গে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০ সই অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। এ সময় সব দফতর প্রধান চুক্তিপত্রে সই করে তা কৃষিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান দফতর প্রধানদের সঙ্গে আলাদা কর্মসম্পাদন চুক্তি সই করেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ধীরগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যেমন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৮টি সাইলো (আধুনিক খাদ্যগুদাম) নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয় ২০১০ সালের দিকে, যা ২০১৯ সালে শেষ হওয়ার কথা। অথচ, সেগুলোর মাত্র তিনটির কাজ শুরু হয়েছে, বাকি পাঁচটির কোনো খবর নেই। এগুলো বাস্তবায়ন হলে এবার ধান সংরক্ষণ করা যেত অনেক বেশি।
তিনি বলেন, ধানের দাম নিয়ে আমরা অস্বস্তির মধ্যে আছি। এ জন্য চাল রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু সিদ্ধান্ত নিলে হবে না। আমাদের আন্তর্জাতিক বাজারে যেতে হবে। এ লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে, ফিলিপাইন থেকে ৩-৪ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানির কথা চলছে। এটা আমাদের জন্য ভালো খবর। তবে, চাল রফতানিতে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।
রাজ্জাক বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনেক দেশ ঘুরে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সভা-সেমিনারে অংশ নেন। কিন্তু, সেখান থেকে পাওয়া জ্ঞানের প্রয়োগ তেমন দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক সেমিনারে অংশ নিতে বিদেশ গেলে, সেখান থেকে পাওয়া জ্ঞান দেশে এসে প্রয়োগ করতে হবে। এছাড়া, যারা মন্ত্রণালয়ের ডেস্কে কাজ করেন তাদের জন্য, কোনো ফাইল কবে কখন কোথায় যায়, সে সম্পর্কে মনিটরিং বাড়াতে হবে। বিনা কারণে কোনো ফাইল যেন পড়ে না থাকে। তাহলে, আমাদের কাজে গতি বাড়বে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়নের স্বীকৃতি স্বরূপ কৃষি মন্ত্রণালয়কে সম্মাননা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
অনুষ্ঠানে চুক্তি সই হয় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি বিপণন অধিদফতর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, জাতীয় কৃষি প্রশিক্ষণ অ্যাকাডেমি, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, কৃষি তথ্য সার্ভিস, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি ও বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।