বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর উত্তরায় ‘উবার’ চালক আরমান হত্যাকান্ডের ঘটনায় সাত দিনেও জড়িতদের শনাক্ত বা গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। অথচ গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের নিজের গাড়ির ভেতরেই গলা কেটে হত্যা করা হয় উবার চালক মো. আরমনকে। গত শুক্রবার উত্তরা পশ্চিম থানায় নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য গত সোমবার গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তের সাথে সংশ্লিষ্ট্র কর্মকর্তারা বলছেন, তারা আসামিদের শনাক্ত করতে পেরেছে। আসামিরা পুলিশের হাত থেকে বাচতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার করা হবে।
নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খানম জানান, আরমানের কোনো শত্রু ছিল না। দেড় বছর ধরে তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালাতেন। বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি জমা দিয়ে নারায়ণগঞ্জে ছোট বোনের বিয়েতে তার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর আগেই তাকে হত্যা করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (উত্তর) বিভাগের ডিসি মো. মশিউর রহমান বলেন, উবার গাড়ি চালকের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আমরা আলোর মুখ দেখেছি, আমদের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়েছে আমরা অন্ধকারে নেই। উবার চালক আরমান হত্যাকাণ্ডের সাথে কারা জড়িত ছিল, হত্যাকাণ্ডটি কখন সংগঠিত হয়েছে এসব বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, এখন তাদের অবস্থানটা জেনে গ্রেফতার করাটাই বাকি আছে। আসামিদের ধরতে বেশ কয়েক জায়গায় অভিযান চালিয়েছি কিন্তু সফল হইনি, আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। যেকোনো সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে উত্তরা-১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কে গাড়ির ভেতর গলা কেটে আরমান হোসেনকে হত্যা করা হয়। পুলিশ যখন লাশ উদ্ধার করে, তখনও গাড়ির ইঞ্জিন চালু ছিল। এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, মোবাইল ফোনের অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা উবারের গাড়িচালক হিসেবে কাজ করতেন আরমান হোসেন। তিনি বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২১ মিনিটে রামপুরার ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে যাত্রী নিয়ে উত্তরা-১৪ নম্বর সেক্টরে যান। গন্তব্যে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই তার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যাত্রী হিসেবে গাড়িতে ওঠা ব্যক্তিরাই তাকে হত্যা করে। তবে গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়নি বলেই মনে করছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।