বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঝুঁকি মোকাবেলায় জলবায়ু বাজেটে স্বচ্ছতা ও সুশাসন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে ৪২টি এনজিও, নাগরিক সমাজ ও সাংবাদিক ফোরামের জোট বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম।
গতকাল বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনের দাবি জানানো হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে ৫ দফা সুপারিশসমূহ তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের উপর পর্যালোচনা প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফোরামের সমন্বয়ক ও নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসি’বি)’র নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান বিজয়। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরি, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক অমিনুর রসুল বাবুল ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা তানজীর হোসেইন।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত ৫ দফা দাবিনামায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর জিডিপি’র কমপক্ষে এক শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বরাদ্দ করতে হবে এবং জলবায়ু বাজেটের পরিচালন ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন খাতে প্রতিবছর কমপক্ষে ১০ শতাংশ ব্যয় বাড়াতে হবে।
জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন-২০১০ পরিবর্তন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জলবায়ু কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিতে হবে। জলবায়ু অর্থায়নে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহে প্রয়োজনে ‘গ্রীণ ট্যাক্স’ বা ‘কার্বন ট্যাক্স’ ধার্য্য করে তা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যয় করতে হবে।
প্রতিটি জেলার জন্যে পৃথক পৃথক স্থানীয় ক্লাইমেট ফিসক্যাল ফ্রেমওয়াক তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশেষ কর্মসূচি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এবারের জলবায়ু বাজেটে ২৫টি মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু সম্পৃক্ত বাজেট বরাদ্দ ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে দশমিক ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তা নাগরিক সমাজের প্রত্যাশার তুলনায় কম।
গত এক দশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে অবকাঠামো, জীবিকা ও ফসলের ক্ষতির হিসাব ধরে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ থেকে এক শতাংশের মতো। অথচ ক্ষতির তুলনায় সরকারি অর্থায়ন যথেষ্ট নয়। এই বাজেট বরাদ্দের উল্লেখযোগ্য অংশ অব্যয়িত থেকে যাচ্ছে। আবার বাজেট বরাদ্দের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে। এছাড়া স্বচ্ছতা ও সুশাসনের অভাব রয়েছে। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ব্যয় অস্বভাবিক হারে দেখানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।