Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ঝিনাইদহে মোয়াজ্জিন হত্যার ঘটনায় স্বামী স্ত্রী গ্রেফতার

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ জুন, ২০১৯, ৪:২৪ পিএম

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বানিয়াবহু গ্রামের পাট ক্ষেতে ফনরশ হাফেজ সোহেল রানা হত্যার মোটিভ ও ক্লু উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ঘাতক দলের দুই সদস্যকে। এরা হচ্ছে রাজু ও তার স্ত্রী জুলিয়া। পলাতক রয়েছে রাজুর বন্ধু সুমন ও মামাতো ভাই নাজমুল। ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান জানান, নারী ঘটিত কারণে সোহেল রানাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন বিয়ে আগে থেকেই জুলিয়া খাতুনের সাথে নিহত রাজুর দৈহিক সম্পর্ক ছিল। জুলিয়ার বিয়ে হলেও পিছু ছাড়েনি সোহেল রানা। তারা মোবাইলে কথা বলতো ও দেখা করতো। বিয়ের পর সাবেক প্রেমিকের সাথে এমন সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি স্বামী রাজু। জানা গেছে সোহেল রানা কোটচাঁদপুরের লক্ষিকুন্ডু গ্রাম থেকে থেকে এসে সাবেক প্রেমিকার শ্বশুরবাড়ি এলাকায় থাকতেন। নেন মসজিদের মোয়াজ্জিনের চাকরী। এদিকে জুলিয়ার স্বামী রাজু স্ত্রীর সাথে এমন সম্পর্কের চরম ক্ষুদ্ধ হন। মনে মনে হত্যার ছক আঁেট। এদিকে স্ত্রী জুলিয়া খাতুনের পর স্বামী রাজু বুধবার গ্রেফতার হয়। প্রেস ব্রিফিংয়ে বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান জানান, কালীগঞ্জের বলরামপুর গ্রামের হাকিম আলীর মেয়ে জুলিয়া ও কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের বখতিয়ার আলীর ছেলে সোহেল রানা চাপালী মাদ্রাসায় লেখাপড়া করতো। এসময় তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি পরিবারের লোকজন জানতে পেরে গত ৪ মাস আগে জুলিয়াকে সদর উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের চাঁদ আলীর ছেলে রাজু আহম্মেদ’র সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের পরও জুলিয়ার সাথে সোহেলের সম্পর্ক ছিল। মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করতো। এছাড়াও তাদের মাঝে অনৈতিক সম্পর্ক চলতে থাকে। বিষয়টি স্বামী রাজু আহম্মেদ জানতে পারে। সোমবার স্বামী রাজু আহম্মেদ স্ত্রী জুলিয়ার মাধ্যমে মোবাইলে মুয়াজ্জিন সোহেল রানাকে ডেকে আনে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রাজু ও তার ২ সহযোগী সোহেল রানাকে ধরে নিয়ে মাঠের পাট ক্ষেতে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিংকু হোসেন বাদি হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কনক কুমার দাস ও সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান খান অভিযান চালিয়ে প্রেমিকা জুলিয়া খাতুনকে আটক করে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদাণ করে। পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে রাজু আহম্মেদকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার করা হয় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাপাতি ও নিহতের মোবাইল ফোন। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো: হাসানুজ্জামান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মোয়াজ্জিন হত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ