বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা : জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের বাল্য বিদ্যাপীঠ ত্রিশালের দরিরামপুর নজরুল একাডেমীর মাঠে ২৫মে থেকে ২৭মে পযন্ত ৩ দিনব্যাপী নজরুলের ১১৭তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা অনুষ্ঠিত হয়। জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাঠের এক প্রান্তে বসানো হয় নজরুল মেলা। কবির জন্ম জয়ন্তীকে ঘিরে পুরো ত্রিশাল জুড়েই ছিল উৎসবের আমেজ আর নজরুল প্রেমী জনতার ঢল। জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠান না হলেও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাদামাটা অনুষ্ঠানেও সাধারণ মানুষের আনন্দ উৎসবের কমতি ছিল না। অনুষ্ঠান শেষ হলেও নজরুল একাডেমীর মাঠের বেহাল অবস্থা হয়ে থাকলেও পরিষ্কার করার কোন উদ্যোগ নেই। গত কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে কাদায় কর্দমাক্ত হয়ে মাঠটি এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে মাঠের মধ্যে পলিথিন আর ময়লা আবর্জনার কারণে পুরো এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বেহাল এ অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসলেও কষ্ট করে ক্লাস রুমের ভেতরে যাচ্ছেন। শিক্ষকরা অফিস থেকে শ্রেণি কক্ষে যেতে পারছেন না। কাদার কারণে ক্লাসে যেতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী পড়ে গিয়ে কর্দমাক্ত হচ্ছেন। পায়ে ও শরীরে কাদা লাগার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে চাচ্ছেন না।
শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, নজরুল জয়ন্তীর পর স্কুল খোলা হলেও পুরো মাঠ জুড়েই ময়লা আর কাদার কারণে ক্লাসে যেতে তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকেই স্কুলে এসে ফিরে যাচ্ছেন। তা ছাড়া অপরিষ্কার মাঠে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্লাস করার মতো কোন অবস্থা সেখানে নেই।
স্থানীয় অনেকে অভিযোগ করেন, ৩ দিনের নজরুল মেলার ইজারা মূল্য ৩১ লক্ষ টাকা হলেও সরকারী ভাবে দেখানো হয়েছে ২৩ লক্ষ টাকা। বাকী ৮লক্ষ টাকা লুটপাট করার অভিযোগ থাকলেও নজরুল একাডেমীর মাঠ ব্যবহার করা হলেও মাঠটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য কোন বরাদ্ধ রাখা হয়নি।
একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা শুনেছি মেলার ইজারা ডাক হয়েছে ৩১ লাখ টাকা। স্কুলের মাঠ ব্যবহার করা হয়। কিন্তু স্কুলের জন্য এক টাকাও বরাদ্দ নেই।
এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু জাফর রিপন জানান, নজরুল মেলার ইজারা হয় ২৩ লাখ টাকা। জয়ন্তী শেষ হয়েছে। কিন্তু মাঠ পরিষ্কার করার জন্য কোন বরাদ্দ নেই। তবে আগামীকালকেই সেখানে পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। মেলার ইজারাদারের বক্তব্য অনুযায়ী ৩১ লক্ষ টাকা মেলার ইজারা নেওয়া হলেও সরকারী ভাবে ২৩ লক্ষ টাকা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ২৩ লক্ষ টাকার পেপারসের বাইরে আমার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা।
মেলার ইজারাদার রুবেল আহমেদ-এর কাছে ইজারার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমরা ৩১ লক্ষ টাকায় মেলা ডেকে এনেছি। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, ২৩ লক্ষ টাকা মেলার ডাক হয়েছে। সচেতন মহলের দাবী বাকি ৮ লক্ষ টাকার কোন হদিস নেই। এই টাকা কোথায় এবং কার কাছে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।