Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিএসএফ ও পুলিশ সদস্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে

বৈঠক শেষে ফেরত

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ান ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের এক কনস্টেবলকে গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আটক দুই জনই সাদা পোশাকে আখাউড়া চেকপোস্টের বাংলাদেশ অংশের প্রায় ২৫০ গজ অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছিল। আটককৃতরা হলেন, বিএসএফ ৬৯ কোম্পানীর হেড কনস্টেবল কিশান লাল ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল বিশ্বজিৎ সরকার। বিজিবি আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের বসার ঘরে আটক দুইজনকে নিজেদের হেফাজতে রাখে। প্রায় তিন ঘন্টা পর বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক হয়। আখাউড়া চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে বসে এই বৈঠক। বৈঠক শেষে আটক দুই ভারতীয়কে ছেড়ে দেয় বিজিবি।

আখাউড়া ইমিগ্রেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তা দেওয়ান মোর্শেদুল হক জানান, আটককৃতরা প্রায় ২৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসে। এদের মধ্যে বিএসএফ জওয়ান কিশান লাল আখাউড়া ইমিগ্রেশনের নতুন ভবন নির্মাণের ভেতের কাজের ছবি তুলছিলেন। বিজিবির সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে এবং পাশে থাকা আগরতলা ইমিগ্রেশনের কনস্টেবলকে আটক করা হয়।

বেলা তিনটার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে ২৫ বিজিবির আখাউড়া কোম্পানী সদর দপ্তরের কমান্ডার বদর উদ্দিন ও আগরতলা ১২০ বিএসএফ লংকামোড়া কোম্পানী কমান্ডার ত্রিবেনী কুমার সিং নেতৃত্ব দেন। বৈঠক শেষে বিজিবি আখাউড়া কোম্পানী সদর দপ্তরের কমান্ডার বদর উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, বিএসএফের এক জওয়ান ও আগরতলা ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল ভুল করে বাংলাদেশে চলে আসে। আমাদের মধ্যে সৌহার্দ বিরাজমান। আছে ভাতৃত্ববোধও। নিয়ম মাফিক আলোচনা শেষে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএসএফ ও পুলিশ সদস্য
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ