বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেলিম আহমেদ, সাভার থেকে : ষষ্ঠ ও শেষ ধাপে অনুষ্ঠেয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র চার দিন। এরই মধ্যে ভোটার ও প্রার্থীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে সহিংসতার ঘটনা। প্রত্যেক দিন কোনো না কোনো প্রার্থী কিংবা তাদের সমর্থকদের ওপর চালানো হচ্ছে হামলা। ভাঙচুর করা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণার মাইক, অফিস। আর প্রতিটি ঘটনার মধ্যেই থাকছে বৈধ-অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। এসব কারণে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আগেই আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে। রক্তপাতের ভয়ে সভা-সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ছে না উপজেলার কোথাও। সবার চোখেমুখে শুধুই আতঙ্ক।
সম্প্রতি সাভারের নির্বাচনের প্রচারণার সময় প্রতিদ্ব›দ্বীর প্রার্থীর এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে সরকারদলীয় এক চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ ঘটনার পর সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভোটের কোনো আমেজ লক্ষ করা না গেলেও রয়েছে আতঙ্ক।
প্রতীক বরাদ্দের শেষ দিন থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী সহিংসতা যেন থামছেই না। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সরকার দলীয় মনোনীত প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পেশিশক্তি ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
সাভার সদর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সোহেল রানার সমর্থকরা প্রতি রাতেই তাÐব চালায় কলমা এলাকাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে। বিএনপির সমর্থিত লোকজন পেলেই পিটিয়ে আহত করে, স্ত্রী-সন্তানসহ নারী কর্মীরাও রেহাই পাচ্ছে না তাদের তাÐব থেকে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ প্রচারণার কাজে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর করছে।
তিনি আরো জানান, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত নানা হুমকি দিয়ে আসছে। প্রচারকাজে বাইরে বের হতে দিচ্ছে না।
এর আগে কাউন্দিয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর পথসভায় সরকারদলীয় প্রার্থীর নেতৃত্বে এলোপাতাড়ি গুলি বিনিময়ে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম নামে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন ও নিখোঁজ রয়েছেন একজন। এ ঘটনায় সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল আলম খান ও তার বডিগার্ড মশিউর রহমানকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।
এ ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী আতিকুর রহমান খান শান্ত অভিযোগ করে বলেন, আমার এক কর্মীকে গুলি করে হত্যার পর এখন আবারও হুমকি-ধমকি দিচ্ছে সরকারদলীয় প্রার্থী সাইফুল আলম খানের সন্ত্রাসী বাহিনী। তিনি বলেন, নিখোঁজ শাহ আলমের স্ত্রী স্বামী নিখোঁজের কথা উল্লেখ করে আদালতে একটি মামলা (সিআর-৪৪৭) করলেও সাভার থানা পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করছে না।
তবে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল আলম খানের স্ত্রী শাহানা তাসমিন দাবি করেন শত্রæতা করে তার স্বামীকে ফাঁসিয়েছে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও তাদের লোকজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।