রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের প্রয়োজনীয় ওষুধ, প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং জরুরি বিভাগের গজ, ব্যান্ডেজ তুলাসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয় বন্ধ। ফলে মঙ্গাপীড়িত এ জেলার দরিদ্র অসুস্থ মানুষেরা সুষ্ঠু চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের প্রয়োজনীয় অনুমোদনের অভাবে হাসপাতালের এই ওষুধ ও চলতি অর্থ বছরের এমএসআর সামগ্রী ক্রয় বন্ধ রয়েছে। অথচ চলতি জুন মাসের মধ্যে উল্লিখিত সামগ্রী ক্রয় করা না হলে এই অর্থ বছরের বরাদ্দকৃত ফেরত যাবে অর্থ মন্ত্রণালয়ে। সেক্ষেত্রে এই জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় চরম সঙ্কট সৃষ্টি করা হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিধায় জনগণের স্বাস্থ্য সেবার স্বার্থে গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন অবিলম্বে মালামাল ক্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদনের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানিয়ে স¤প্রতি একটি পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু তাতেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের জন্য হাসপাতালের ওষুধ ও এমএসআর ৬টি গ্রুপের দরপত্র মূল্যায়নের রায় ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই প্রদান করে দরপত্র যাচাই বাছাই কমিটি। কিন্তু দরপত্রের শর্ত মোতাবেক ড্রাগ লাইসেন্সসহ ৭টি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ‘ক’ গ্রুপে ওষুধ সরবরাহের নিমিত্ত দরপত্র দাখিলকারীর আলেয়া কর্পোরেশনের দরপত্র অযোগ্য ঘোষণা করে।
এতদসত্তে¡ও অযোগ্য ওই প্রতিষ্ঠানটি আপিল বোর্ডে আপিল করে। কিন্তু আপিল বোর্ড (সিপিবিইউ) শুধু ওষুধ সরবরাহের নিমিত্তে একটি গ্রুপে দরপত্র দাখিলকারী অযোগ্য আলেয়া কর্পোরেশনের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৬টি গ্রুপেরই ওষুধসহ সকল সামগ্রী ক্রয়ের পুনরায় নতুন করে দরপত্র আহবানের পরামর্শ প্রদান করে।
এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে দরপত্রে যাচাই বাছাই কমিটি কর্তৃক যোগ্য ঠিকাদাররা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে হাইকোর্ট উক্ত আদেশ ৪ মাসের জন্য স্থগিত করেন (রিট নং ৬৯১/২০১৯)। হাইকোর্টের এই স্থগিতাদেশ প্রাপ্তির পর গাইবান্ধা হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক বরাবরে (স্মারক নং ২০১৮-২০১৯/৩৬৩ তাং ০৯.০৩.২০১৯) ওষুধসহ জরুরি প্রয়োজনীয় এমএসআর মালামাল জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদনের জন্য পত্র প্রেরণ করেন। কিন্তু মহাপরিচালক অদ্যাবধি তা অনুমোদন না করায় হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ওষুধ, গজ, ব্যান্ডেজসহ অন্যান্য সামগ্রীর অভাবে চিকিৎসা সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে।
গতকাল রোববার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা সম্বনয় কমিটির সভায় এবিষয়টি উপস্থাপন করা হলে সিভিল সার্জন জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের অনুমোদন পেলেই এই সমস্যার সমাধান হবে। অন্যথ্যায় জেলার অন্যকোঠা থেকে জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করতে ওষুধপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।