বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাজেটে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কম রাখা এবং টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারীর ওপর মূসক আরোপ করায় বিক্ষুব্ধ সাংস্কৃতি অঙ্গনের স্টেকহোল্ডারা। নাটক নির্মাতা নায়ক-নায়িকা-অভিনেতাসহ ক্ষুব্ধ সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষেরা। ক্ষুব্ধ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
১৩ জুন জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৫৭৫ কোটি টাকা। যা গত অর্থ বছরের বরাদ্দের তুলনায় ৮ শতাংশ কম। অন্যদিকে টিভি ও অনলাইনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সরবরাহকারীর ওপর মূসক আরোপ করা হয়েছে। এতে বাড়বে অনুষ্ঠান নির্মাণ খরচ।
সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ কমানোয় ব্রগ, ফেসবুক, টুইটারে প্রতিবাদ করছেন টিভি ও সিনেমার নায়ক-নায়িকা, অভিনেতা অভিনেত্রীরা। সমাজিক যোগাগোগ মাধ্যমে বাজেট কমানোর প্রতিবাদের স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী বিজরী বরকতুল্লাহ, তমালিকা কর্মকার, নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ, পিকলু চৌধুরীসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিল্পী-কুশলী।
সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর দুটি বিষয় নিয়ে গত তিন দিন ধরে বিষয়গুলো নিয়ে ফেসবুকে জোর প্রতিবাদ চলছে। বিশেষ করে নির্মাতা, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের একটি কমন স্ট্যাটাস ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে তিনদিন ধরে। তারা বলছেন যখন প্রফেশনালিজম নিয়ে কথা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে বাজেটে টেলিভিশন এবং অনলাইন অনুষ্ঠান সরবরাহের ওপরে নতুন করে মূসক বসালেন! এতে করে রুগ্ন শিল্পকে মৃত্যুরপ্রকাশ করে বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই হতাশার একটি খবর। কারণ, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে সামনে রেখে আমাদের নাটক শিল্প নতুন দিগন্ত খুঁজে পেয়েছে। আমরা এখন এই নতুন মাধ্যমটিকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছি। লক্ষ করবেন, এখন আমাদের প্রায় ৯০ ভাগ দর্শক অনলাইনভিত্তিক। আমাদের নির্মাণ পরিকল্পনাও এখন তাদের ঘিরেই। অথচ এই বিকাশমান অনলাইন মাধ্যমে মূসকের (মূল্য সংযোজন কর) ভার চাপিয়ে দেওয়া হলো। এমনিতেই আমরা থাকি বাজেট সংকটে, তার সঙ্গে যুক্ত হলো মূসক! এটা বাস্তবায়ন হলে আমাদের তো দাঁড়ানোর জায়গাটাও থাকবে না।’
উল্লেখ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বাজেট ছিল ৬২৫ কোটি টাকা। এবার এ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবিত বাজেট ৫৭৫ কোটি টাকা।
বিষয়টি নিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছে। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেছেন, ‘বাজেট কমাটা দেশের সংস্কৃতির জন্য আশঙ্কার। তাই আমরা বাজেট বৃদ্ধির দাবি পেশ করলাম। শুধু উন্নয়ন হলে হবে না। হতে হবে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার মানুষ। যার জন্য সংস্কৃতি চর্চা ও প্রসার খুব জরুরি। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টিকে নজরে আনবেন বলেই আমরা মনে করছি।’ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ বলেছেন, ‘মূসক বৃদ্ধি আমাদের শিল্পকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এটা প্রত্যাহার হওয়া উচিত।’ এ নিয়ে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনও ঢাকা মহানগরে শিল্পকলা একাডেমির প্রবেশপথের মুখে সভা করেছে। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেন, ‘আমাদের শিল্প সংস্কৃতি যেন ধ্বংসের মুখে চলে যাচ্ছে। এমন বাজেট সংস্কৃতি শেষ করেই ছাড়বে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।