Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লুটেরা ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষা করবে

বাম নেতাদের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৯, ১২:৩২ এএম

প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটকে সিপিবি’র সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম গতানুগতিক আখ্যায়িত করে বলেছেন, এটা সাম্রাজ্যবাদ ও লুটেরা ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষার গণবিরোধী দলিল। বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সিপিবি নেতা গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। এ বাজেটকে প্রত্যাখান করে তিনি বলেন, দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষের পরিশ্রমের বিনিময়ে অর্থনীতির যে প্রবৃদ্ধি ঘটছে তার মাত্র ১ শতাংশ তাদেরকে দিয়ে ৯৯ শতাংশই ১ শতাংশ লুটেরা ধনিকদের পকেটস্থ করার প্রক্রিয়াকে মদত দেয়ার দর্শনইে এ বাজেট প্রণীত হয়েছে। এ বাজেট লুটেরা ধনীকদের আরো ধনী করবে এবং গরিব-মধ্যবিত্তকে আপেক্ষিকভাবে আরো দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসহায় করে তুলবে।


তিনি বলেন, বাজেট প্রস্তাবের ভিত্তি হলো পুঁজিবাদের নয়া উদারবাদী প্রতিক্রিয়াশীল দর্শন। এই দর্শনের মূলভিত্তি হলো ধনিক তোষণ ও শ্রেণি-ধনবৈষম্য সৃষ্টি করা। এই বাজেটে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির অন্যতম সমাজতন্ত্রের কোনো প্রতিফলন নেই। প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়ে পরোক্ষ কর প্রত্যক্ষ করের দ্বিগুণ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ঘোষিত বাজেট দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থয় কোন গুনগত পরিবর্তন আনবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। আ স ম রব রাষ্ট্র-প্রশাসনিক ব্যবস্থার গণতান্ত্রিক সংস্কার করে নতুন ভাবে বাজেট প্রনয়ন করে উপস্থাপনের দাবী জানান। বিবৃতিতে বলা হয় ৫ লাখ ২০ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেটে যে ২ শত ১১ লক্ষ কোটি টাকার অধিক উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার বিরাট অংশই লুট হবে। বাজেট সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে হলে বাজেট ও প্রকল্প প্রনয়ন ও বাস্তবায়নে এর সাথে সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের জনগনের অংশগ্রহন নিশ্চিত করতে হয়। বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এত দূর গণতন্ত্রায়নতো দূরের কথা রাষ্ট্র-ব্যবস্থাপনায় সাধারণ গণতন্ত্র ও জনগনের ভোটাধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাজেটে দেশের আয়-উপার্জনহীন নিম্নবিত্ত মানুষ, এতিম, বিধবা, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও দুস্থ নারীদের জন্য নাম মাত্র মূল্যে রেশন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা আজ একান্ত প্রয়োজন। অথচ তা রাখা হয়নি।


বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, বাজেট অনেকটা খাবার ছাড়াই খাবারের প্লেট সাজানোর মতই। আয় বৃদ্ধির সামর্থ ছাড়া প্রবলভাবে ব্যায় আকাংখী। উন্নয়নের তুলনায় অনুন্নয়ন ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাবনা উদ্বেগজনক। বাজেট সমাজে ধনী-গরীবের বৈষম্য আরো প্রবল করবে। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের কাছে প্রস্তাবিত বাজেট গ্রহণযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, গত বছরের মত এবারও বাজেট বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট ও বিশ^াসযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেই। ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার মত যে বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে শেষ পর্যন্ত তার বোঝা টানতে হবে জনগণকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লুটেরা ধনিক শ্রেণি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ