বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুরে ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে চাকায় পিষ্ট করে যাত্রী সালাউদ্দিনকে হত্যা করা আলম এশিয়া পরিবহন বাসের চালক ও কন্ডাকটরকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ। আটক ব্যক্তিরা হলেন- বাসের চালক রোকন উদ্দিন (৩৫) ও কন্ডাকটর মো. আনোয়ার হোসেন (২৮)।
রোকন উদ্দিন হালুয়াঘাট থানার লতিফপুরের নয়াপাড়া এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে। আর আনোয়ার হোসেন শেরপুরের নালিতাবাড়ির মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরর্দিশক (এসআই) আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে ধোবাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে বাস চালক রোকন উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে শেরপুরের নালিতাবাড়ি থেকে বাস কন্ডাকটর আনোয়ার হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ৯ জুন সকালে শ্বশুর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলপুর থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আলম এশিয়ার একটি বাসে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন সালাউদ্দিন। তিনি নিজে চালক পরিচয় দিয়ে ভাড়ার কিছু টাকা কম রাখার জন্য কন্ডাকটরকে অনুরোধ করেন। কিন্তু এ নিয়ে বাসের কন্ডাকটর ও হেলপারের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।
পরে সালাউদ্দিন বাসের ভাড়া পরিশোধ করলেও বিতণ্ডার জেরে বাসের কন্ডাকটর ও হেলপার বাঘেরবাজার গিয়ে তাকে ‘সম্মান’ দেখানোর হুমকি দেন। সালাউদ্দিন অপমানের আশঙ্কা থেকে তার ভাই জামাল উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বাঘেরবাজার বাসস্ট্যান্ডে আসতে বলেন। এক পর্যায়ে বাসটি বাঘেরবাজার পৌঁছালে দুই যাত্রী নামার পর সালাউদ্দিনও নামতে যান।
তখন বাসের কন্ডাকটর ও হেলপার তাকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয় এবং সালাউদ্দিনের স্ত্রীকে বাস থেকে না নামিয়ে গাড়ি টান দিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সালাউদ্দিন ও তার ভাই জামাল উদ্দিন বাসের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে গতিরোধের চেষ্টা করলেও চালক বাস না থামিয়েই সালাউদ্দিনকে পিষে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সালাউদ্দিন মারা যান। কিছু দূর যাওয়ার পর সালাউদ্দিনের স্ত্রীকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। আরও কিছুদূর গিয়ে বাসটি মহাসড়কের পাশে রেখে চালক, কন্ডাকটর ও হেলপার পালিয়ে যায়।
নিহত যাত্রী সালাউদ্দিন (৩৬) ঢাকার আলুবাজার এলাকার মৃত শাহাব উদ্দিনের ছেলে। সালাউদ্দিন বাঘেরবাজার এলাকায় পরিবারসহ বাসা ভাড়ায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানার গাড়ি চালাতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।