বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় পোশাককর্মী গণধর্ষণের ঘটনার পাঁচদিন যেতে না যেতেই এবার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখরা গ্রাম এলাকার কাছে এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থলসহ আলাদা স্থান থেকে জামরুল (২৮), হুমায়ুন (২৩) ও কাজল (৪৫) নামে তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
খবর পেয়েই নেত্রকোণার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কেন্দুয়া সার্কেল) মো. মাহমুদুল হাসান ও কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আটক জামরুল চন্দলাড়া গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে, হুমায়ুন আব্দুর রহমানের ছেলে ও কাজল আব্দুল মজিদের ছেলে।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, গণধর্ষণের শিকার কিশোরী একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। সে বিকেলে ইউনিয়নের সাখরা গ্রামের কাছে বখাটেদের খপ্পরে পড়ে।
প্রথমে তাকে তুলে নিয়ে একটি জঙ্গলে ও পরে সেখান থেকে আবার এক গেরস্তের গোয়াল ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। গোয়াল ঘরে ধর্ষণের সময় স্থানীয়রা টের পেয়ে একজনকে ধরে ফেললে বাকিরা পালিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে আরও দুইজনকে আটক করে পুলিশ। মেয়েটিকে গোয়াল ঘর থেকে উদ্ধার করে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। গণধর্ষণের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
এর আগে গত ০৬ জুন সন্ধ্যায় উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের কুন্ডলি গ্রাম এলাকায় এক পোশাককর্মী গণধর্ষণের শিকার হন।
গণধর্ষণের ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে আলাদা সময়ে আটক করে আদালতে হাজির করে। আদালতে আসামি টিপু প্রথম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড চায় পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।