বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদের ছুটি শেষ হলেও কক্সবাজার সৈকতের শেষ হয়নি পর্যটকদের ঈদ আনন্দ। এখনো লাখো পর্যটক এর আনন্দ উদযাপনে মুখর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। ঈদের দিন থেকে বৃষ্টি বাদলের বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে লাখো পর্যটক ভিড় করছেন কক্সবাজারে। হোটেল মোটেল রেস্ট হাউস গেস্ট হাউস কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এই ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার ভ্রমণ করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব কক্সবাজারের কৃতি সন্তান হেলাল উদ্দিন সহ অনেক ভিআইপি সিআইবি এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। পর্যটকের ঢল সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন কক্সবাজারের প্রশাসন। বৈরী আবহাওয়া ঈদ আনন্দ উদযাপনে রুখতে পারেনি ভ্রমণ পিয়াসু মানুষ গুলোকে।
রবিবার বিকেলে সৈকতের কয়েকটি পয়েন্টে গিয়ে দেখাগেছে, সাগরের নীল জলরাশিতে উচ্ছ্বাসে মেতেছে হাজার হাজার পর্যটক। থেমে থেমে আসা বৃষ্টি পর্যটকদের উচ্ছ্বাস যেন দমাতে পারছে না কিছুতেই। মুক্ত সৈকতে ছুটে এবং ঘুরে ও সাগরে গোসল করে তারা প্রশান্তি লাভ করছেন।
বিকেলে লাবনী পয়েন্টে দেখা হয় লন্ডন প্রবাসী মাহমুদ হোসেনের সাথে। তিনি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে পিএইচডি করছেন। তিনি ঈদের ছুটি কাটাতে সপরিবারে ছুটে এসেছেন কক্সবাজার সৈকতে। সৈকতের উন্মুক্ত আবহাওয়া, ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও সাগরের নীল জলরাশি তার কাছে খুবই আকর্ষণীয় বলে জানান তিনি।
এ সময় আরো দেখা হয় সিলেটের দুই ব্যবসায়ী মুরাদ হোসেন ও জাকির হোসেনের সাথে। তারা জানান, কক্সবাজারের সৈকতের নির্মল আবহাওয়া এবং কক্সবাজারের শান্ত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদেরকে বারবার আকৃষ্ট করে কক্সবাজার আসতে। তাই তারা অবসরে ছুটে আসেন কক্সবাজারে । এবার কক্সবাজার এসেছেন ঈদের ছুটি উদযাপন করতে। কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে, সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে এবং আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কাজ দ্রুত শেষ করে পর্যটকদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজ এবং নিরাপদ করতে সরকারের কাছে দাবী জানান।
এছাড়াও কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত পর্যটন শহর হিসেবে গরে তুলতে সরকারের পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান তারা।
দীর্ঘদিন প্রচণ্ড গরমের পর এ বৃষ্টি পর্যটকদের ঈদ আনন্দে যোগ করেছে বাড়তি আনন্দ। খবর নিয়ে জানাগেছে, সমুদ্র সৈকত ছাড়াও ইনানীর পাথুরে সৈকত, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কেও ভিড় করছেন পর্যটকরা।
এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তায় নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের ছুটি কাটাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে ভিড় করছেন লাখো পর্যটক। বৈরী আবহাওয়া আর থেমে থেমে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সৈকতের সব পয়েন্টে যেন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে আিন শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব পদচারনা। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মিজান জানান, তারা অন্তত সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পানল করছেন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন জানান, বরাবরই কক্সবাজারের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল ও শান্ত রয়েছে। তাই দেশ-বিদেশের পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমণে কমফোর্ট ফিল করেন এবং জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।