Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মধ্যপ্রাচ্যে হুমকির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল

চীনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্র বানাচ্ছে সউদী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১২:০৪ এএম


ক্ষেপণাস্ত্র মজুতের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়েছে সউদী আরব। মজুত বাড়ার পেছনে হাত আছে চীনের। এ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ ঘটনা ঘটলে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের তিন দশকের কৌশল চরম হুমকির মুখে পড়বে। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সউদী আরবের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে (ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রোগ্রাম) সরাসরি সাহায্য করছে চীন। মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা এর প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছেন। বিষয়টি সত্যি হলে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রের তিন দশকের কৌশল হুমকির মুখে পড়বে। সিএনএনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সউদী আরবের পারমাণবিক অস্ত্র মজুত ও সক্ষমতা বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য হাতে পেয়েও এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন।
এদিকে ইরানকে রুখতে মরিয়া সউদী আরবও। গত বছর মার্কিন এক টিভি চ্যানেলের এক অনুষ্ঠানে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, ‘ইরান যদি পরমাণু বোমা বানায়, আমরাও বানাব।’
যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র কেনে সউদী আরব। তবে, ১৯৮৭ সালে স্বাক্ষরিত একটি অনানুষ্ঠানিক বহুজাতিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ চুক্তির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনতে পারে না সউদী আরব। কিন্তু সউদী আরব বরাবরই বলে আসছে, শত্রæ দেশ ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার সমকক্ষ হতে তাদেরও পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োজন। তাই ১৯৮৭ সালের চুক্তিতে যেসব দেশ স্বাক্ষর করেনি, চীনসহ সেসব দেশ থেকে নানা সময়ে সহায়তা নিয়েছে সউদী আরব। সূত্র : ওয়েবসাইট।

 



 

Show all comments
  • গুলাম ৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৮ এএম says : 0
    বানালে বানা। কিন্তু মারিস জায়গামতন। ইরানকে মারার দরকার নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Rashidullah ৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    সত্য হলে সৌদি আরবের সাথে যুদ্ধ করে ইসরায়েলের ও আমেরিকার জেতার সম্ভাবনা নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Amzad Hossain ৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    পাকিস্তানকে পারমাণবিক বোমার প্রযুক্তি দিয়েছে কে? উঃ চীন!! উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক বোমার প্রযুক্তি দিয়েছে কে? উঃ চীন!! ইরানকে পারমাণবিক বোমার প্রযুক্তি দিয়েছে কে? উঃ চীন!! সৌদি আরবকে পারমাণবিক বোমার প্রযুক্তি দিয়েছে কে? উঃ চীন!! পৃথিবী ধ্বংস হলে এর জন্য যুক্তরাষ্ট্র নয়, দায়ী হবে চীন
    Total Reply(0) Reply
  • NAhmed ৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    মধ্যপ্রাচ্যে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ করতে হলে সবার আগে ইসরায়েলকে দিয়ে শুরু করতে হবে.
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৮ জুন, ২০১৯, ১:৪৯ এএম says : 0
    120 বিলিয়ন ডলার অস্ত্রক্রয় চুক্তি ট্রাম্পের মুখে কুলুপ লাগিয়ে দিয়েছে। বর্বর সৌদিদের হাতে এক সাথে এই ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আর পারমানবিক বোমা আসলে তত্র অঞ্চল এক বিশাল জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হবে। সৌদি হস্তক্ষেপে ইয়েমেন ও সিরিয়া ইতিমধ্যেই দোজখে পরিণত হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Iron Man ৮ জুন, ২০১৯, ১:৫০ এএম says : 1
    আমিতো অনেক হুজুরদেরকে বলতে শুনেছি যারা বিধর্মীদের সাথে উঠবস করে বা লেনদেন করে তাদের জন্য জাহান্নামের দরজা অপেক্ষা করতেছে। এখন এই যে সৌদি বিধর্মীদের সাথে ব্যবসা বাণিজ্য করতেছে তা নিয়েহুজুরদের কি মূল্যায়ন তা জানতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আর হায়াৎ মউতের মালিক উপরওয়ালা, এবং তাই যদি হয় তাহলে এতো কোটি কোটি টাকা খরচ করে পারমাণবিক বোমার মত মরণঘাতী অস্ত্রের কি প্রয়োজন তাও আবার বিধর্মীদের কাছ থেকে !
    Total Reply(0) Reply
  • Saadi Sabyasachi ৮ জুন, ২০১৯, ১:৫১ এএম says : 0
    আমেরিকা ইস্রায়েলকে অন্তত ৮০টা পরমাণু বোমা দিয়ে রেখেছে। এই অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোও পরমাণু বোমা বানাতে চাইবে, সেটাই স্বাভাবিক। মধ্যপ্রাচ্যকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে হলে ইরস্রায়েলকে দিয়ে শুরু করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi ৮ জুন, ২০১৯, ৫:৪১ পিএম says : 0
    ইরান হলো বর্তমান মুসলিমদের সাহসের প্রতিক,,আমেরিকা যে কি তা এখনো বোঝেনি সৌদি আরব,,বুজলে কানবে
    Total Reply(0) Reply
  • alim ৮ জুন, ২০১৯, ৮:৩০ পিএম says : 0
    শাবাশ বোমা বানানো উচিত,সঙ্গে এস-৪০০ টাও কিনে নেয়া উচিত তাহলে আর আমেরিকা মধ্য প্রাচ্যতে মাস্তানি করতে পারবেনা। সৌদি রাজ পরিবার ভালনা কিন্তু ওরা আমেরিকাকে মনেমনে ঘৃণা করে আর ক্ষমতা হারানর ভয়ে আমেরিকাকে কিছু বলেনা।কিন্তু পারমানবিক বোমা থাকলে আর আমেরিকাকে পুসতে হবেনা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ