Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুখ্যমন্ত্রীর আস্ফালন সত্ত্বেও আসাম থেকে বাঙালি মুসলমান বিতাড়ন অত সহজ নয়

প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

॥ মোবায়েদুর রহমান ॥

আসামে ক্ষমতায় এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি। নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন সর্বানন্দ সানোয়াল (নাকি সান্যাল?)। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আরেকটি বড় রাজ্য তামিলনাড়–তে ক্ষমতায় এসেছে আন্না ডিএমকে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন জয় ললিতা জয়রাম। এক সময়কার ডাকসাইটে সুন্দরী এবং অভিনেত্রী জয় ললিতা এবার নিয়ে পরপর ছয়বার তামিলনাড়–র মুখ্যমন্ত্রী হলেন। আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ফলাফল বাংলাদেশের ওপর কী প্রভাব বিস্তার করে এবং বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের এবং আসামের সম্পর্ক এবার কি আরো ভালো হবে, নাকি খারাপ হবে, সেটি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মাঝে জল্পনা-কল্পনার অন্ত নেই।
পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে এই মুহূর্তে জল্পনা-কল্পনার বেশি অবকাশ আছে বলে আমার মনে হচ্ছে না। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মমতা ব্যানার্জি যখন ঢাকায় এসেছিলেন তখন সাংবাদিকরা তাকে তিস্তার পানি বণ্টন সম্পর্কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, আমার ওপর আস্থা রাখুন। তখন বাংলাদেশে আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবী, কলামিস্ট এবং টকশোওয়ালারা বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন সামনে। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মমতা ব্যানার্জি তিস্তার পানি নিয়ে কোনো চুক্তি করবেন না। নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে তিস্তার পানি বণ্টন সম্পর্কে তার পরবর্তী কর্মপন্থা। এবার মমতা ব্যানার্জি গতবারের চেয়েও বেশি শক্তি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এখন সরকারপন্থি মহল বলছে, এবার মমতা ব্যানার্জি তিস্তা সংকটের একটি সুরাহা করবেন। মমতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তার সূত্র থেকে প্রকাশ করা হয়েছে যে, মমতা ব্যানার্জি নাকি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমবঙ্গ সফরের দাওয়াত দিয়েছেন। আরো বলা হয়েছে, তিনি পশ্চিমবঙ্গ গেলে তাকে নাকি নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এসব খবরাখবর থেকে জল্পনা-কল্পনা চলছে যে, এবার হয়তো মমতা ব্যানার্জি নরম হতে পারেন এবং তিস্তার পানি সমস্যার একটি সুরাহা হতে পারে। এসব জল্পনা-কল্পনা সত্য হোক, আমরা সেটাই কামনা করি। কারণ বাংলাদেশের সব মানুষ তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পাবে, সেই আশায় তাকিয়ে আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সেটি না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই বিষয়টি নিয়ে কাইট ফ্লাইং করব না।
তবে বিষয়টির একটি নেতিবাচক আলামত দেখা যাচ্ছে। যেটি মমতা ব্যানার্জির সামনে একটি বড় অন্তরায় হয়ে দেখা দিতে পারে। সেটি হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প। এই নদী সংযোগ প্রকল্পের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। তারপর অভ্যন্তরীণ টানাপোড়েন এবং প্রতিবেশী বাংলাদেশসহ অন্যান্য রাষ্ট্রের আপত্তির মুখে সেটির বাস্তবায়ন স্থগিত রাখা হয়েছিল। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিষয়টি আবার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তারপর পুনরায় থিতিয়ে পড়ে। কিন্তু কিছু দিন আগে ভারতের উচ্চ আদালত এ সম্পর্কে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। ওই নির্দেশনায় স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের মধ্যে আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। এই নির্দেশনার পর আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পের বাস্তবায়ন আর কেউ ঠেকাতে পারবে বলে মনে হয় না। এই তো মাত্র কয়েক দিন আগে ভারতের পানিসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী বলেছেন, আন্তঃনদী সংযোগের মাধ্যমে খরাপীড়িত অঞ্চলে পানি সরিয়ে নেওয়া এখন তার সরকারের এক নম্বর প্রায়োরিটি। এ প্রকল্প বাংলাদেশের পানি সমস্যার ওপর কতখানি প্রভাব বিস্তার করবে সে সম্পর্কে সর্বাগ্রে একটি ধারণা পাওয়া দরকার। ভারতের উচ্চ আদালতের এই নির্দেশনার কথা ভেবে মমতা ব্যানার্জি যদি তিস্তা সমস্যা আপাতত এড়িয়ে যান তাহলে বাংলাদেশ থেকে তেমন কিছু বলার থাকবে বলে মনে হয় না।  
॥ দুই ॥
আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি অতি সংক্ষেপে নি¤œরূপ : ভারতের ৩৭টি নদীকে ৩০টি সংযোগ খালের দ্বারা যুক্ত করা হবে। সবকটি খালের মোট দৈর্ঘ্য ১২ হাজার কিলোমিটার। খালগুলো ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মতো প্রশস্ত হবে। গভীরতা প্রায় ৬ মিটার। প্রধান উদ্দেশ্য, ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গাকে সংযুক্ত করা এবং উত্তরের পানি দক্ষিণে ও পুবের পানি পশ্চিমে নিয়ে যাওয়া। পরিকল্পনা বা প্রকল্পের দুটি বড় অংশ আছে। গঙ্গা ও তার কয়েকটি উপনদী যথা গন্ডক, ঘাগরা, সারদা ও যমুনা নদীকে খাল কেটে সংযুক্ত করা হবে। পরে খাল কেটে যমুনার পানি সুদূর রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। গঙ্গা কিন্তু ফারাক্কা পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। অতএব, ফারাক্কা পয়েন্টে আমরা আরও কম পানি পাব। প্রকল্পের দ্বিতীয় অংশে আসছে ব্রহ্মপুত্র নদী। গঙ্গা ও তার উপনদী থেকে যে পানি সরানো হবে, তা পূরণ করা হবে ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্বারা। সে ক্ষেত্রে দুটি খাল খনন করা হবে (১) মানস-সংকোষ-তিস্তা সংযোগ (২) যোগী ঘোপা-তিস্তা-গঙ্গা সংযোগ খাল। পাঁচটি ধাপে ব্রহ্মপুত্রের পানিকে ১০০ মিটার উঁচুতে তুলে তারপর গঙ্গায় ফেলা হবে। সর্বনাশ হবে বাংলাদেশের। বাংলাদেশ ব্রহ্মপুত্রের পানি থেকে বঞ্চিত হবে। অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি দ্বারা গঙ্গার বর্ধিত পানির প্রবাহ কিন্তু ফারাক্কা দিয়ে বাংলাদেশে আসবে না; চলে যাবে সুদূর দাক্ষিণাত্যে। ফারাক্কা পয়েন্ট থেকে সংযোগ খাল কেটে ওডিশার সুবর্ণরেখা ও মহানন্দার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা হবে। তারপর মহানন্দা, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী ও ভাইগাই নদ-নদীগুলোকে সংযুক্ত করে কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়– রাজ্যে পানি সরবরাহ বাড়ানো হবে।
আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, গোলটেবিল বৈঠক ইত্যাদি অনেক অনুষ্ঠান হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে অনেক বিশেষজ্ঞ বক্তা এসে তাদের মূল্যবান মতামত দিয়ে গেছেন। সেসব মতামতের সারমর্ম করলে নদী সংযোগ প্রকল্প বাংলাদেশের ওপর কী বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে একটি প্রাথমিক আইডিয়া পাওয়া যায়। দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশের আছে ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী, তার মধ্যে ৫৪টি ভারত থেকে আসছে। বাংলাদেশের পানির ক্ষেত্রে নদীপ্রবাহের অবদান ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ, বৃষ্টিপাত ২৩ শতাংশ এবং ভূগর্ভস্থ পানির অবদান ১ দশমিক ৫ শতাংশ। নদী প্রবাহের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র একাই আনে ৬০ শতাংশের বেশি। পদ্মা ও মেঘনা আনে ৩০ শতাংশ। ভারতের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গার পানি এত কমে যাবে যে আমাদের প্রায় পানিশূন্য হতে হবে। জাতিসংঘের সাবেক বিশেষজ্ঞ এস আই খান এক গবেষণাপত্রে দেখিয়েছেন, ভারতের নদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সাগরের লবণাক্ত পানি উত্তরে সিলেট পর্যন্ত পৌঁছাবে।
॥ তিন ॥
আমি একটু আগেই বলেছি, তিস্তা সমস্যা নিয়ে এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। মমতা সবেমাত্র এক সপ্তাহ হলো দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। তাই তার নতুন সরকার আগামী কয়েক মাস এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটি দেখার জন্য আমাদের কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে একটি কথা বলা দরকার। সেটি হলো, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে এবং সেটা যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমোদন না দেয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। কারণ ভারতীয় সংবিধানে বলা আছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার যখন কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে কোনো চুক্তি করে তখন শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার এবং সেই ভিন দেশি রাষ্ট্রের মধ্যে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হলেই চলবে না। ওই চুক্তির সাথে ভারতের ২৯টি রাজ্যের মধ্যে যদি এক বা একাধিক রাজ্য জড়িত থাকে তাহলে তাদের মতামতও অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট এক বা একাধিক রাজ্য যদি ওই চুক্তির বিরোধিতা করে তাহলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ঐকান্তিক ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেই চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে না।
গত বছর নরেন্দ্র মোদি যখন ঢাকায় আসেন তখন তার পকেটে একটি খসড়া চুক্তি ছিল। চুক্তির সেই খসড়ায় বাংলাদেশের স্বার্থ কতখানি সংরক্ষিত ছিল সেটি জানা যায়নি। বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হোক আর নাই হোক, নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের সাথে ওই চুক্তি আর সম্পাদন করতে পারেননি। কারণ তিস্তা চুক্তির সাথে পশ্চিমবঙ্গ সরাসরি জড়িত। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মতামতের বাইরে অথবা তাদের আপত্তির মুখে কোনো চুক্তি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার করতে পারবে না। মমতা ব্যানার্জি গতবার সেই চুক্তি সম্পাদনে সম্মতি দেননি। সুতরাং চুক্তিটি আর সম্পন্ন হয়নি।
এখন আসছি আসাম প্রসঙ্গে। আসামে সমস্যাটি হলো এই যে, সেখানে নাকি বাংলাদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির মতে ২ কোটি) বাংলাদেশি সেটল করেছে। এসব অবৈধ অভিবাসীকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তাড়িয়ে দিলে তারা কোথায় যাবে? তারা সেক্ষেত্রে লোটা-কম্বলসহ বাংলাদেশেই ফিরে আসবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ থেকে যারা আসামে গেছে তাদের সংখ্যা কত? কতজনকে আসাম সরকার বিতাড়িত করবে? আগে তো সেই সংখ্যাটি নির্ধারণ করতে হবে। সেটি যদি না করা হয় তাহলে অন্ধকারে ঢিল মারা ছাড়া ভারতের উপায় থাকবে না।
কবে এসব বাংলাদেশি নাগরিক আসাম গেছে? সেটি কি ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তির পর? নাকি ১৯৭১ সালের পাকিস্তান আর্মির ক্র্যাক ডাউনের পর? নাকি ১৯৪৭ সালের পর থেকে তারা যাচ্ছে তো যাচ্ছেই? ভারতের অভিযোগ মোতাবেক যেসব বাংলাদেশি সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আসামে স্থায়ীভাবে বসত গেড়েছে তাদের সংখ্যা কত? তারা কি সব মুসলমান বাঙালি? নাকি হিন্দু বাঙালি? ঢালাওভাবে সবাইকেই কি আসাম থেকে বিতাড়িত করা হবে? এসব প্রশ্ন এ কারণেই উঠছে যে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তো বটেই, খোদ বিজেপির মধ্যেও এ নিয়ে মতদ্বৈধতা আছে। অতীতে অন্যরা কে কি বলেছেন সেটাও না হয় এখন শুনেও না শোনার ভান করা যেতে পারে। কিন্তু ১৯ মে আসামের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর ২২ মে হবু মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানোয়াল যে ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে তো আর উপেক্ষা করা যায় না। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, বাংলাদেশ এবং আসামের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে। বন্ধ করলে কী হবে? হয়তো নতুন করে কেউ আসা-যাওয়া করতে পারবে না। ভারতের অভিযোগ মোতাবেক হয়তো নতুন করে কেউ বাংলাদেশ থেকে আসাম যেতে পারবে না। কিন্তু যারা চলে গেছে তাদের কী হবে? আরেকটি কথা। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ এবং আসামের পুরো সীমান্তটাই কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে সিল মারা হবে। বেড়া স্থাপিত হবে আসাম সীমান্তে আসামের মাটিতে।
এগুলো তো সব ভবিষ্যতের ব্যাপার। আমরা আগে দেখি, আসামের নতুন সরকার এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তাদের পদক্ষেপ দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব, আমাদের করণীয় কী। তার আগে এই বিষয়টি নিয়ে অগ্রিম মাথা ঘামিয়ে এনার্জি নষ্ট করার প্রয়োজন নেই।
Email: [email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুখ্যমন্ত্রীর আস্ফালন সত্ত্বেও আসাম থেকে বাঙালি মুসলমান বিতাড়ন অত সহজ নয়
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ