Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের ইতিহাসে ফেরি সেক্টরে সর্বাধিক সংখ্যক যানবাহন পারাপার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৯, ৬:২৭ পিএম

সর্বকালের সর্বাধিক সংখ্যক যানবাহন পারাপার করে রেকর্ড করল রাষ্ট্রীয় নৌ বানিজ্য সংস্থ্যা- বিআইডব্লিউটিসি। মঙ্গলবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তি ২৪ঘন্টায় সংস্থাটির ফেরি সেক্টরগুলোতে প্রায় ১৬হাজার ২শ যানবাহন পারপার করা সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত আরিচা ও মাওয়া সেক্টরে আরো প্রায় ৬হাজার যানবাহন পারাপার করেছে বিআইডব্লিউটিসি। তবে এরপরেও দেশের প্রধান দুটি ফেরি সেক্টর, পাটুরিয়া এবং মাওয়া সেক্টরের শিমুলিয়াতে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় ৭শ যানবাহন ছাড়াও অন্য কয়েকটি ফেরি সেক্টরে আরো প্রায় ৫শ যানবাহন পারপারের অপেক্ষায় ছিল। তবে দুপুর ৩টা নাগাদ অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা ৫শতে নেমে এসছে। কতৃপক্ষের মতে, আর অল্পক্ষনের মধ্যেই কোন ফেরি ঘাটেই যানবাহন অপেক্ষমান থাকবে না। রাত ১০টার মধ্যই প্রধান দুটি ফেরি সেক্টর যানযট মূক্ত হয়ে যাবে। সোমবার শেষ কর্ম দিবসে ঘরমুখি জনশ্রোত রাজধানী ছেড়ে যেতে শুরু করায় বাড়তি যানবাহনের অত্যাধীক চাপে সাময়িক কিছু যানযট সৃষ্টি হলেও তা কেটে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংস্থার দায়িত্বশীল মহল।
সোমবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তি ২৪ঘন্টায় পাটুরিয়া ও মাওয়া সেক্টর সহ বিআইডব্লউটসি’র ৫টি ফেরি সেক্টরে ১৬ হাজার ১৬০টি যানবাহন পারাপার করা সম্ভব হয়েছে। এসময় রাজধানীর সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১টি জেলার সংযোগ রক্ষাকারী পাটুরিয়া ও মাওয়া সেক্টরেই ১৫ হাজারেরও বেশী যানবাহন পারাপার করা সম্ভব হয়। তবে ইতিহাসের সর্বাধীক সংখ্যক যানবাহন পারপারের পরেও পাটুরিয়া ঘাটে ৪শ ও কাঠালবাড়ীতে আরো প্রায় ৩শ যানবাহন অপেক্ষমান ছিল। বর্তমানে আরিচা সেক্টরের পাটুরিয়াÑদৌলতদিয়া রুটে ১১টি রো-রো সহ ২০টি ফেরি চলাচল করছে। এছাড়াও মাওয়া সেক্টরের শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ী রুটে ৩টি রো-রো সহ ১৮টি ফেরি চলছে।
তবে চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ৪টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ২৪ঘন্টায় প্রায় সাড়ে ৪শ যানবাহন পারপারের পরেও অপেক্ষমান রয়েছে আরো প্রায় আড়াইশ । এ সেক্টরে প্রয়োজনীয় ফেরির অভাব সহ নৌপথের কয়েকটিস্থানে নাব্যতা সংকটের কারনে কিছুটা সমস্যা তৈরী হচ্ছে।
তবে পরিস্থিতি তুলনামুলক ভাবে খারপ ভোলা-লক্ষ্মীপুর সেক্টরে। ২৮কিলোমিটার দীর্ঘ উপমহাদেশর সর্বাধীক দৈর্ঘের এ ফেরি সেক্টরে মাত্র ৩টি কে-টাইপ ফেরি থাকলেও ‘কিশাণী’ নামের ফেরিটি বিকল হয়ে পড়ায় সংকট আরো বেড়েছে। গত ২৪ঘন্টায় চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুরÑভোলা-বরিশালÑমোংলাÑখুলনা মহাসড়কের এ ফেরি সেক্টরে মাত্র ২০৬টি যানবাহন পারপার সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্মীপুর থেকে ভেলায় ১৮৫টি যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় দেড়শ । তবে ভোলা প্রান্তে অপক্ষেমান কোন যানবাহন নেই।
ঐ একই মহাসড়কের ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি লাহারহাটÑভেদুরিয়া সেক্টরে ৪টি ইউটিলিটি ফেরির মাধ্যমে গত ২৪ঘন্টায় প্রায় সাড়ে ৪শ যানবাহন পারাপার হলেও দ্ ুপ্রান্তে আরে প্রায় শ খানেক অপেক্ষমান রয়েছে।
এসব বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান প্রণয়কান্তি বিশ্বাস-এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনার কারনেই এবার সংস্থার ফেরি সেক্টরে সবগুলো ফেরি সচল রয়েছে। পাশাপাশি সুষ্ঠু ঘাট ব্যবস্থাপনার কারনেও ফেরি চলাচল নির্বিঘœ রয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ উৎসবে ইতিহাসের সর্বাধীক সংখ্যক যানবাহন পারাপার করতে পেরে তার সংস্থা গর্বিত। সংস্থার ফেরি সেক্টরের প্রতিটি মাঠ কর্মী অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় কাজ করছে বলেও জানান তিনি। পাশাপশি ঈদ পরবর্তি সময়েও কর্মস্থলমুখি মানুষকে পৌছে দিতে পরিপূর্ণ সতর্কতার সাথে সংস্থার ফেরি বহর প্রস্তুত থাকবে বলে জনিয়েছেন চেয়ারম্যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেরি চলাচল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ