বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় ঈদগাহের জামাতে মুসল্লিরা শুধু জায়নামাজ, প্রয়োজনে ছাতা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। ঈদগাহের ভেতরে চারপাশের এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকবে। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে এগুলোর ফুটেজ মনিটরিং করা হবে। এছাড়াও আগত মুসল্লিদের তিন ধাপে তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। গতকাল সোমবার জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
অন্যদিকে গতকাল দুপুরে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার বলেন, ঈদ যাত্রায় সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সার্বিক ব্যবস্থাপনা অন্যবারের থেকে অনেক ভালো ও সন্তোষজনক।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ও বায়তুল মোকাররম প্রস্তুত। ঈদ জামাতের জন্য সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। ঈদগাহ মাঠ স্ক্যানিং করা হয়েছে। আর্চওয়ে স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ঈদগাহে থাকা ডিএমপির কন্ট্রোল রুম থেকে সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং করা হবে। ঈদগাহের চার পাশে চেকপোস্ট থাকবে। প্রথমে চেকপোস্টে পুলিশ সবাইকে ফিজিক্যাল তল্লাশি করবে। দ্বিতীয় দফায় মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি হবে, তৃতীয় দফায় মুসল্লিদের ঈদগাহ মাঠে প্রবেশের মুখে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এই তিন দফা তল্লাশির মাধ্যমে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ঈদ জামাতে মুসল্লিরা জায়নামাজ এবং বৃষ্টি থাকলে ছাতা নিয়ে কেবল প্রবেশ করতে পারবেন। এছাড়া, আর কিছু সঙ্গে আনা যাবে না। জায়নামাজ ও ছাতা পুলিশ দেখতে চাইলে দেখাতে হবে। ঢাকার প্রতিটি ঈদ জামাতে আমাদের নিরাপত্তা থাকবে। যেখানে আমরা আর্চওয়ে দিতে পারবো না, সেখানে পুলিশ ফিজিক্যালি তল্লাশি করবে।
জাতীয় ঈদগাহের মুসল্লিদের গাড়ি রাখার জন্য যেখানে নির্দিষ্ট জায়গা রয়েছে, সেখানেই গাড়ি রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চেকপোস্টের ভেতরে কোনও গাড়ি প্রবেশ করবে না। নির্দিষ্ট জায়গায় গাড়ি রাখতে হবে। ঈদগাহে সন্দেহজনক কিছু দেখা গেলে পুলিশ কণ্ট্রোল রুমে, অথবা ৯৯৯ এ ফোন করে জানানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনও হামলার তথ্য নেই। তবে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমাদেরও সতর্ক থাকতে হবে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারা বাংলাদেশের অগ্রগতি থামিয়ে দিতে চায়।
রামপুরা ও পল্টনে পুলিশের ওপর হামলাকারীরা শনাক্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, এখনও বলার মতো অগ্রগতি হয়নি। তবে পুলিশের ওপর ককটেল মেরে শত শত পুলিশ সদস্যের মনোবল দুর্বল করা যাবে না। সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম ও পুলিশের রমনা বিভাগের ডিসি মারুফ হোসেন সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।