Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোলা লক্ষ্মীপুর ও ভোলা বরিশাল সেক্টরে পারাপারের অপেক্ষা

রেকর্ড পরিমান যানবাহন পারাপার দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরে যানযট নেই

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৯, ৫:২৭ পিএম

রেকর্ড পরিমান যানবাহন পারাপার করায় যানযটহীন প্রধান দুটি ফেরি সেক্টরে স্ব¯িততে ঘরে ফিরছেন দেশের দক্ষিন ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার লাখ লাখ মানুষ। তবে দীর্ঘ যানযটের ভোগান্তি রয়েছে চাঁদপুরÑশরিয়তপুর, ভোলাÑলক্ষ্মীপুর ও ভোলাÑবরিশাল সেক্টরের ফেরি সার্ভিসে। এসব সেক্টরে পারাপারকৃত যানবাহনের প্রায় সম সংখ্যকই অপেক্ষমান থাকছে। প্রয়োজনীয় ফেরি সংকটের কারনেই চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুরÑভোলাÑবরিশালÑমোংলাÑখুলনা মহাসড়কের দুটি ফেরি সেক্টর ছাড়াও চট্টগ্রামÑচাঁদপুরÑশরিয়তপুর-গোপালগঞ্জÑখুলণা মহাসড়কেও বিড়ম্বনার শেষ নেই।

বিআইডব্লিউটিসি এবারই প্রথম তার বহরের সবগুলো ফেরি চলাচলক্ষম রাখতে পাড়ায় দেশের প্রধান দুটি ফেরি সেক্টর পাটুরিয়া ও মাওয়াতে কোন যানযট নেই। ফলে রাজধানীর সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১টি জেলার সড়ক পথে যানবাহন চলাচল এবার এখনো যথেষ্ঠ নির্বিঘœ। সোমবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তি ২৪ঘন্টায় সংস্থাটি তার সবগুলো ফেরি সেক্টরে প্রায় ১৩হাজার যানবাহন পারাপার করেতে সক্ষম হয়েছে।
এরমধ্যে আরিচা সেক্টরের পাটুরিয়াÑদৌলতদিয়াÑপাটুরিয়া রুটে ৭হাজার ৬০৩টি এবং মাওয়া সেক্টরের কাঠালবাড়ীÑশিমুলিয়া রুটে প্রায় ৪হাজার যানবাহন পারাপার সম্ভব হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত আরিচা সেক্টরে ১১টি রো-রো সহ মোট ২০টি ফেরি চলাচল করছিল। একই সময়ে মাওয়া সেক্টরে ৩টি রো-রো সহ ১৮টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছিল। এসব ফেরির সাহায্যেই এত বিপুল পরিমান যানবাহন পারাপার সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান প্রণয় কান্তি বিশ্বাস বলেন, এবার সংস্থার ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক সচল ফেরি চলাচল করছে। ফলে যানবাহন পারপারেও রেকর্ড সৃষ্টি হবে।
পাশাপাশি তিনি চাঁদপুর, ভোলা ও বরিশাল সেক্টরে ফেরি স্বল্পতার কথা স্বীকার করে কিছু যানবাহন অপেক্ষমান থাকার কথা জানিয়ে এজন্য দুঃখও প্রকাশ করেছেন। এ ব্যাপারে সংস্থার চেয়ারম্যান বলেন আমারা চেষ্টা করছি ঐসব সেক্টরগুলোতেও অপেক্ষমান যানবাহন যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় পারপার করতে। তবে ঈদের পরে ভোলাÑলক্ষ্মীপুর রুটে আরো অন্তত ১টি ফেরি মোতায়েনের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে চাঁদপুরÑশরিয়তপুর সেক্টরে ৪১৪টি যানবহন পারাপারের পরেও আরো প্রায় ২শ অপেক্ষমান ছিল বলে জানা গেছে। একইভাবে চট্টগ্রাম-লক্ষ্মীপুরÑভোলাÑবরিশালÑমোংলাÑখুলনা মহাসড়কের ভোলাÑলক্ষ্মীপুর সেক্টরে ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ১৯৩টি যানবাহন পারপার হলেও অপেক্ষমান ছিল আরো ১২০টি। ঐ মহাসড়কেরই ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি লাহারহাট-ভেদুরিয়া সেক্টরে ৪টি ‘ইউটিলিটি টাইপ-১’ ফেরির সাহায্যে প্রায় সোয়া ৪শ যানবাহন পারপারের পরেও প্রায় ২শ অপেক্ষমান ছিল।
অথচ ভোলাÑলক্ষ্মীপুর ও ভোলা বরিশাল সেক্টরে ফেরি চলাচল ব্যাবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে যানবাহন পারাপার বৃদ্ধি করতে পারলে তা ঢাকাÑচট্টগাম মহাসড়কে যানবাহনের চাপ হৃাস করতে সহায়ক হত। কারন এ সড়ক পথে চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের দুরত্ব প্রচলিত চট্টগ্রামÑঢাকা মহাসড়রকের অর্ধেকেরও কম। ২০০৭সালে ২টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে পরিক্ষামূলকভাবে ভোলাÑলক্ষ্মীপুর ফেরি সার্ভিস চালু করা হলেও গত এক যুগেও এ সেক্টরের জন্য মানসম্পন্ন ফেরি সংগ্রহ করেনি নৌপরিবহন মন্ত্রনালয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ