স্বতন্ত্র উৎসব ঈদ
এল ঈদুল ফিতর, এল ঈদ ঈদ ঈদসারা বছর যে ঈদের আশায় ছিল নাক’ নিদ। হ্যাঁ, সুদীর্ঘ
বিশ্বের প্রতিটি জাতি তাদের বিশ্বাস ও মন-মানসিকতা অনুযায়ী আনন্দ উৎসব পালন করে থাকে। এই আনন্দ উৎসবে নারী-পুরুষ, শিশু-যুবক সবাই অংশগ্রহণ করে। এর কোনো কোনটিকে তারা জাতীয় উৎসব হিসেবে পালন করে থাকে। হিজরতের পর রাসূলে পাক (সা.) দেখতে পেলেন, মদিনাবাসীরাও বৎসরে দুইটি উৎসব পালন করছে। এই উৎসবগুলোতে তারা তাদের পুরানো ঐতিহ্যকেই ধরে রেখেছে। ইসলামী কোনো ভাবধারা এর মধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে না। এই জাতীয় উৎসব দুটির নাম ছিল ‘নীরুজ’ ও ‘মেহেরজান’। হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলে পাক (সা.) মদিনায় এসে দেখলেন তারা দুইটি জাতীয় উৎসব পালন করছে। এতে তারা খেলাধুলা, কবিতা আবৃত্তি, নাচ-গান ও বিভিন্ন প্রকারের আনন্দদায়ক অনুষ্ঠান করে চলেছে। রাসূলেপাক (সা.) তাদেরকে এই উৎসবের তাৎপর্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তারা বলল, ‘আমরা জাহিলিয়াত যুগে এই দিন দু’টিতে আনন্দ উৎসব করতাম। এখনও তাই করে চলেছি।’ এ কথা শুনে রাসূলেপাক (সা.) বললেন, ‘আল্লাহপাক তোমাদেরকে এই দু’টি দিনের পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম দু’টি দিন ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা দান করেছেন, কাজেই পূর্বেরগুলো বাদ দিয়ে এখন থেকে আল্লাহপাকের দেয়া দিন দু’টিতে তোমরা উৎসব পালন কর। ঈদুল ফিরত হবে এক মাস রোজা পালন ও কৃচ্ছ্রতাসাধন করার পরের দিন, আর ঈদুল আজহা পবিত্র হজ্জ্ব পালন করে আল্লাহপাকের শুকরিয়া আদায়ের লক্ষ্যে পশু কুরবানি করার দিন, অর্থাৎ ১০ জিলহাজ্জ।’
ইসলামের এই উৎসবে অংশগ্রহণের জন্য কোনো নির্দিষ্ট শ্রেণির জন্যে সীমাবদ্ধ রাখা হয় নাই। এই উৎসবে নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-যুবক, আশরাফ-আতরাফ, গরীব-ধনী সবাই সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করবে। বুকে বুক মিলাবে, কুশল বিনিময় করবে, সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করবে। আনন্দ ভাগাভাগি করবে। এটিই হলো ইসলামের শাশাত নির্দেশ।
ঈদের দিনে আল্লাহপাকের উপহার : হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলেপাক (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি ঈদুল ফিতরের রাত পর্যন্ত রোজা রেখেছে, আল্লাহপাক তাকে সমস্ত নেয়ামত দান করেন এবং রোজার পুরা মুজুরী দিয়ে দেন।’ ঈদের দিন সকালে আল্লাহপাকের নির্দেশে ফেরেশতাগণ এই পৃথিবীতে আগমন করে রাস্তাগুলোতে, চৌরাস্তাতে, বাজারে এবং মানুষের সমাগম স্থানে উচ্চঃস্বরে বলতে থাকে (যা মানুষ এবং জিন ছাড়া সবাই শুনতে পায়) ‘হে মুহাম্মদের (সা.) উম্মতগণ! তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে বেরিয়ে আস। তোমদের স্বল্প মূল্যের জিনিসের পরিবর্তে অত্যন্ত মূল্যবান জিনিস দেওয়া হবে। আল্লাহপাক তোমাদের কবীরা গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেবেন।’ পরে মুসলমানগণ নামাজের জন্যে বের হন এবং নামাজ আদায় করে দোয়া করেন। তখন আল্লাহপাক তাদের সমস্ত প্রয়োজন পুরা করে দেন। তাদের সমস্ত দোয়া কবুল করা হয়। তাদের সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়। তখন তারা নিষ্পাপ হয়ে ঈদগাহ থেকে ফেরৎ আসে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, ফিতরের রাতকে মজুরীর রাত বলা হয়। ঈদের দিন সকালে আল্লাহপাক ফেরেস্তাদেরকে হুকুম করেন যে, ‘তোমরা পৃথিবীর সমস্ত স্থানে ছড়িয়ে পড়।’ সুতরাং ফেরেস্তাগণ জমিনের সকল জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে বলতে থাকে, ‘হে উম্মতে রাসূলেপাক (সা.), তোমাদের প্রতিপালকের দিকে বেরিয়ে পড়, আজ তোমাদের প্রতিপালক অনেক কিছু দিতে চান। তোমাদের কবীরা গোনাহ মাফ করে দেবেন।’ সুতরাং যখন মানুষ নামাজের জন্যে বের হয় তখন আল্লাহপাক ফেরেস্তাদের ডেকে বলেন, ‘যে শ্রমিকেরা তাদের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করে, তার মজুরী কি?’ তখন ফেরেস্তাগণ আরজ করবেন, ‘হে আমাদের প্রতিপালক, এই সব মজদুরের মজুরী পুরা দিয়ে দিতে হবে।’ তখন আল্লাহপাক এরশাদ করেন, ‘হে ফেরেস্তাগণ তোমরা সাক্ষী থাক, যারা আমার জন্যে রোজা রেখেছে, নামাজ আদায় করেছে, আমি তাদেরকে মাফ করে দিলাম।’ এরপর আল্লাহপাক বলেন, ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমার নিকট কিছু চাও। আমার ইজ্জত এবং মহত্তে¡র কসম, তোমরা আজ দুনিয়া এবং আখেরাতের জন্য যা চাইবে আমি অবশ্যই তা দিয়ে দেব। তোমাদের দোষ-ত্রæটিগুলোকে ছোঁয়াবে ঢেকে দেব, কেননা তোমরা সর্বদা আমরাই ইবাদতে মশগুল ছিলে। আজকের দিনে আমি তোমাদেরকে লজ্জিত করব না। আমি তোমাদেরকে ক্ষমা দিয়ে বিদায় দিচ্ছি। তোমরা আমাকে সন্তুষ্ট করেছ, আমি তোমাদেরকে সন্তুষ্ট করলাম।’
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘ফেরেস্তাগণ এ কথা শুনে খুব খুশি হবেন এবং এই সুসংবাদ সবাইকে জানিয়ে দিবেন।’
হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর উম্মতের ঈদ : হযরত ইব্রাহীম (আ.) এর জামানায়ও ঈদ পালন করা হতো। নির্দিষ্ট দিনে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই একটি বিরাট ময়দানে চলে যেত এবং সেখানে তারা আনন্দ উৎসব পালন করত। আর কোরআনের বর্ণনা মতে, আমরা জানতে পারি যে, তাদের ঈদের দিনে তারা এসে হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে বলল, ‘চলুন আমাদের সাথে অমুক মাঠে, সেখানে আমরা উৎসব করব।’ আল্লাহপাক বলেন, ‘অতঃপর হযরত ইব্রাহীম (আ.) একবার তারকাদের প্রতি লক্ষ করলেন এবং বললেন, আমি পীড়িত (অসুস্থ), অতঃপর তারা তাঁর প্রতি পিঠ ফিরিয়ে চলে গেল।’ (সূরা আস্ সাফ্ফাত: ৮৮-৯০)
তাদের চলে যাবার পর তিনি গিয়ে ঢুকলেন তাদের দেব মন্দিরে এবং সমস্ত প্রতিমা ভেঙে চুরমার করে বড় প্রতিমাটির কাঁধে কুড়াল রেখে চলে এলেন। পরদিন যখন ঐ সম্প্রদায় ঈদগাহ থেকে ফিরে এসে তাদের প্রতিমাদের এই অসহায় অবস্থা দেখল, তখন তারা হযরত ইব্রাহীম (আ.)-কে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল যে, এ কাজ কে করেছে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘তোমাদের বড় প্রতিমার নিকট জিজ্ঞাসা কর, আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছ?’ তখন তারা বলল, ‘আমাদের প্রতিমা কি কথা বলতে পারে?’ তখন হযরত ইব্রাহীম (আ.) বললেন, ‘যারা কথা বলতে পারে না, এমন কি নিজেদের রক্ষা পর্যন্ত করতে পারে না তারা তোমাদের কী উপকার করবে? তোমরা কেন তাদের ইবাদত করছ? তোমরা এসব ভান্ডামী ছেড়ে এমন এক সত্ত্বার ইবাদত কর যিনি আমাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, যিনি কারও মুখাপেক্ষী নন, যিনি সব কিছুর মালিক, যার নির্দেশে এই পৃথিবীর সবকিছু পরিচালিত হচ্ছে, যার হাতে আমাদের জীবন-মরণ।’
এ কথা শুনে তারা লজ্জিত হলো এবং সেখান থেকে চলে গেল।
হযরত মুসা (আ.) এর জামানার ঈদ : হযরত মুসা (আ.) এর জামানায় ঈদ উৎসব হতো। যেমন হযরত মুসা (আ.)-কে যখন ফেরাউনের লোকেরা বলল যে, ‘তোমার সাথে আমাদের মোকাবিলা হবে, তুমি বল কোন দিন তুমি আমাদের মোকাবিলায় হাজির হবে?’ তখন তিনি বললেন, পবিত্র কোরআনের ভাষায়, ‘তোমাদের ওয়াদার দিন, উৎসবের দিন এবং পূর্বাহ্নে লোকজন সমবেত হবে’ (সূরা ত্বা-হা: ৫৯)।
অর্থাৎ তাদের ঈদের দিন মোকাবিলা করার দিন ধার্য হলো। ঐ দিনটি নিয়ে কিছু মতভেদ আছে। কেউ বলে নববর্ষের দিন, কেউ বলে আশুরার দিন। ফেরাউন হযরত মুসা (আ.) এর সাথে মোকাবিলা করার জন্য যাদুকরদের জমায়েত করল। হযরত মুসা (আ.) লাখ লাখ জনতার সামনে তাঁর লাঠির সাহায্যে এমন যাদু প্রদর্শন করলেন, যা যাদুকর দ্বারা সম্ভব নয়। হযরত মুসা (আ.) এর মোজেযা দেখে সামউনের নেতৃত্বে সমস্ত যাদুকর অহদানিয়াতের পতাকাতলে আত্মসমর্পণ করেছিল। আবার এ দিনেই ফেরাউনের সমস্ত দলবল নীল নদে ডুবে মরে ছিল। আর এ জন্যই হযরত মুসা (আ.) এ দিনটিকে তাঁর উম্মতের জন্য ঈদের দিন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ছিলেন।
হযরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের ঈদ : হযরত ঈসা (আ.) এর বিভিন্ন মোজেযা দেখে তাঁর দলের লোকেরা আরজ করল, ‘আপনার রব যথেষ্ট ক্ষমতাধর, আপনি আসমান থেকে আমাদের জন্য খাদ্য ভরা খাঞ্চা এনে দেন।’
আল্লাহপাক বলেন, তখন ঈসা ইবনে মারিয়াম দোয়া করলেন, ‘হে আমার পরওয়ারদিগার আল্লাহ! আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাদ্য ভরা খাঞ্চা নাজিল করুন। যেমন ঐ দিন আমাদের জন্য পূর্বাপর আনন্দের দিন হয়। আর আপনার পক্ষ থেকে তা নিদর্শন স্বরূপ হয়ে থাকে। আর আমাদেরকে রিজিক দান করুন এবং আপনি উত্তম রিজিক প্রদানকারী’ (সূরা মায়েদা:১১৪)।
আল্লাহপাক তাঁর দোয়া কবুল করলেন, তখন লাল বর্ণের একটি খাঞ্চা মানুষের সামনে আসমান থেকে অবতরণ করতে লাগল। এ দৃশ্য দেখে হযরত ঈসা (আ.) কাঁদতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, ‘হে আল্লাহ! আমাকে তোমার শোকর গুজার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর। আর আসমান থেকে যা অবতরণ করেছ তাকে আমাদের জন্য রহমত বানাও, আজাবে পরিণত কর না।’
হযরত ঈসা (আ.) বললেন, ‘তোমদের মধ্যে যে সর্বাধিক নেককার সে যেন বিসমিল্লাহ বলে এর ঢাকনা খোলে।’ তখন তাদের দলনেতা সামুন সেগার আরজ করল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এর যোগ্য।’ তখন হযরত ঈসা (আ.) অজু করে শোকরানা নামাজ আদায় করে বিসমিল্লাহ বলে ঢাকনা খুললেন এবং বললেন, ‘বিসমিল্লাহি খাইরুর রাজিকীন।’ তিনি এই খাবার এক হাজার তিনশত অসুস্থ, পঙ্গু, বিপদগ্রস্ত নর-নারীসহ তৃপ্তির সাথে গ্রহণ করলেন। এই খাবার প্রতিদিন সকালে আসমান থেকে অবতীর্ণ হতো। এটি ৪০ দিন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এই খাঞ্চাভরা খাদ্য লাভ করেও লোকেরা নাফরমানী করতে শুরু করল। তখন আল্লাহপাক খাঞ্চা অবতরণ বন্ধ করে দিলেন এবং হযরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের ৩৩৩ জনকে শূকরে পরিণত করে শাস্তি দিলেন, যারা আল্লাহপাকের সাথে নাফরমানী করেছিল। এই খাঞ্চা অবতরণের দিনটিতে হযরত ঈসা (আ.) এর উম্মতের লোকেরা ঈদ উদযাপন করে থাকে।
উপরোক্ত ঈদের তথ্যগুলো আমরা পবিত্র কোরআন থেকে পেয়েছি, আর এই তথ্যগুলোই প্রমাণ করে যে, শুধুমাত্র উম্মতে মোহাম্মদীর জন্য ঈদ নয়, ঈদ সমস্ত সম্প্রদায় এবং সকল কওমের মধ্যেই প্রচলিত ছিল।
ঈদের দিনের করণীয় : এবারে সংক্ষেপে ঈদের দিনের জরুরি কাজগুলো আলোচনা করছি। ১। ঈদের দিন ফজর হওয়ার সাথে সাথে সদকায়ে ফিতর ওয়াজিব হয়ে যায়। সাহেবে নেছাব তার পরিবারের প্রতিটি লোকের পক্ষে ফিতরা আদায় করবেন। ২। ফজরের পূর্বে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে তার উপর ফিতরা ওয়াজিব। তবে ফজরের আগে যদি কেউ ইন্তেকাল করে ফেলেন, তার জন্য কোনো ফিতরা নেই। ৩। ফিতরা ঈদগাহে যাবার পূর্বে দেয়া মোস্তাহাব। অবশ্য পরে দিলেও পরিশোধ হবে। ৪। ঈদুল ফিতরের তাকবির আস্তে আস্তে পড়তে হবে। তাকবির হলো, ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার অলিল্লাহিল হামদ।’ ঈদুল ফিতরের দিন ঘর থেকে বের হয়ে যাবার সাথে সাথেই নামাজের স্থানে পৌঁছা পর্যন্ত তাকবির বলতে হবে। ৫। ঈদগাহে এক রাস্তায় যাওয়া এবং অন্য রাস্তায় প্রত্যাবর্তন করা সুন্নত। যদি আসা-যাওয়ার দু’টি রাস্তা না থাকে বা কোনো অসুবিধা থাকে তা হলে দূষণীয় নয়। ৬। ঈদের নামাজ দুই রাকাত ওয়াজিব। ৭। এই নামাজে কোনো আজান একামত নেই। ৮। এই নামাজে তাকবির তাহরিমার পর ছুবহানাকা পড়ে তিনটি তাকবির দিতে হবে। আর দ্বিতীয় রাকাতে যাবার পূর্বে তিনটি তাকবির দিতে হবে। ৯। প্রতিটি তাকবিরে কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে ছেড়ে দিতে হবে, বাঁধা যাবে না। ১০। নামাজের পর ইমাম সাহেবের প্রদত্ত খুৎবা শুনা ওয়াজিব। ১১। কোনো প্রকার অসুবিধা না থাকলে ঈদগাহে পায়ে হেঁটে যাওয়া সুন্নত। ১২। ঈদগাহে যাবার পূর্বে কিছু মুখে দেয়া সুন্নত। ১৩। ঈদুল ফিতরের দিন রোজা রাখা হারাম। তবে ঈদুল আজহার দিন নামাজের পূর্বে কিছু আহার না করে নামাজের পর কোরবানির গোশত দিয়ে আহার করা সুন্নত। তবে এ দিন আহার করলেও কোনো গোনাহ হবে না। ১৪। ঈদের দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও উত্তম জামা-কাপড় পরা এবং সাধ্যানুযায়ী ভালো খাবার ও আনন্দের ব্যবস্থা করা উত্তম। ১৫। সদকায়ে ফিতরকে তিনভাবে আদায় করা যেতে পারে। যেমন- (১) সাধারণ ১ সের সাড়ে বার ছটাক গম বা চাল বা তার সমমূল্য। (২) সংগতি সম্পন্নরা ১ সের সাড়ে বার ছটাক খেজুর বা এর মূল্য। (৩) অধিক সঙ্গতি সম্পন্নরা ১ সের সাড়ে বার ছটাক শুকনা খেজুর বা এর মূল্য পরিশোধ করতে পারেন।
বি.দ্র. ১ সের সাড়ে বার ছটাক পরিমাণ পরিশোধ করা ভালো। তবে মোটামুটি দুই সের দিলেই উত্তম। কারণ কম হলে ফেতরা আদায় হবে না।
হে আল্লাহ, মেহেরবানী করে আমদের রোজাগুলো কবুল কর। আমদের সকল প্রকার গোনাহ থেকে নাজাত দাও। আমদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমাদের গোনাহগুলোকে সওয়াবে রূপান্তরিত করে দাও। ঈদগাহ থেকে আমাদেরকে নিষ্পাপ করে প্রত্যাবর্তন করার তৌফিক দাও। ঈদের পুরোপুরি আনন্দ উপভোগ করার তৌফিক দাও। আমাদের সকলকে তোমার খাঁটি বান্দা হিসেবে কুবল করে নাও। আমীন। (রচনাবলী হতে সংকলিত)
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।