Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাহরির সময় ধর্ষণ চেষ্টা বাধা দেয়ায় স্বামী খুন

রংপুরে শিকার শিশু : বিভিন্ন স্থানে আটক ৭

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

কুমিল্লার চান্দিনায় সাহরীর সময় তরুণীকে ধর্ষণ চেষ্টা করে এক যুবক। এসময় স্ত্রীর চিৎকার শুনে স্বামী বাধায় ধর্ষক পালিয়ে যায়। এ ঘটনার দুই মাথায় ছুরিকাঘাতে তরুণীর স্বামীকে হত্যা করে ওই ধর্ষক জানে আলম। অভিযুক্ত ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া রংপুরে এক শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এদিকে রূপগঞ্জে গণধর্ষণের মামলায় তিনজসহ বিভিন্ন স্থানে ৭জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কুমিল্লা : কুমিল্লার চান্দিনায় সেহেরী রান্নার সময় এক গৃহবধূকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এতে বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে ওই গৃহবধূর স্বামীকে খুন করেছে প্রতিবেশি মামা। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে চান্দিনা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড ছায়কোট এলাকায় এ ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। গৃহবধূর স্বামী নিহত ফারুক হোসেন (২৬) ছায়কোট এলাকার মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের প্রতিবেশি দুই মামা-হত্যাকারী জানে আলম (৩৫) ও তার ভাই মোর্শেদকে (৩৭) আটক করেছে চান্দিনা থানা পুলিশ। তারা একই এলাকার রহমান ড্রাইভারের ছেলে।
নিহতের মা নাছিমা বেগম জানান, ‘গত সোমবার দিবাগত রাত ২টায় আমার পুত্রবধূ রান্না ঘরে সাহরী তৈরি করছিল। এসময় প্রতিবেশী জানে আলম আমার পুত্রবধূকে রান্নাঘর থেকে মুখ চেপে ধরে পাশের একটি জমিতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় পুত্রবধূর চিৎকার শুনে আমার দুই ছেলে ফারুক ও জালালসহ বাড়ির লোকজন বের হয়। এ সময় জানে আলম তাকে ছেড়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপর আমার দুই ছেলেসহ অন্যান্যরা জানে আলমের বাড়িতে গেলে জানে আলম উল্টো আমার ছেলেদের মেরে ফেরার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার ভোর থেকেই জানে আলম আত্মগোপনে ছিল।

তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার ইফতারের পর প্রচন্ড গরমে আমার ছেলে ফারুক হোসেন আমাদের বসতঘর সংলগ্ন একটি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিল। এসময় জানে আলম ও তার ভাই মোর্শেদ এসে বিষয়টি কেন এলাকায় জানাজানি হলো বলেই আমার ছেলের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।’ এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবুল ফয়সল জানান, রাত সাড়ে ১২টার মধ্যে ঘটনার মূলহোতা জানে আলমসহ তার বড় ভাই মোর্শেদকে আটক করা হয়েছে।

বগুড়া : বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার ভোরে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবকের নাম জামাল আহম্মেদ (২০)। গতকাল শুক্রবার তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়ার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গতক বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণী (১৯) মামলা করেন। তরুণীর ভাষ্য, গত সোমবার রাতে ধর্ষণের ওই ঘটনা ঘটে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবদুল গফুর বলেন, গত সোমবার রাতে ওই তরুণী বাড়ির পেছনে টিউবওয়েলে পানি আনতে যান। ওই সময় জামাল আহম্মেদ ও তার আরেক সহযোগী শাহ জালাল (২৫) তরুণীর মুখ চেপে তুলে নিয়ে গিয়ে পাশে ফসলের খেতে ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে উদ্ধার করেন। এ সময় ওই দুই যুবক পালিয়ে যান।

এসআই বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তরুণীকে শনিবার বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হবে। তরুণী বলেন, স্বামীর সঙ্গে তালাক হয়ে যাওয়ার পর বাবার বাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিছুদিন ধরে জামাল তাঁকে বিরক্ত করত। নানা ধরনের প্রলোভন দিত। এতে তিনি রাজি না হওয়ায় তাকে ভয়ভীতিও দেখান জামাল। তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেফতাররের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করেছেন জামাল। এই মামলার আরেক আসামি পলাতক আছেন। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা করছে পুলিশ।

রংপুর : রংপুরে প্রথম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে অনিমেষ রায় নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ৪নং ওয়ার্ডের আমাশু কু করুল পূর্বপাড়ায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষক অনিমেষ রায়কে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে ওই এলাকার কৃষক কৃষ্ণ রায়ের ছেলে স্থানীয় আমাশু প্রগতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র অনিমেষ রায় মেয়েটির বাড়িতে যায়। মেয়েটির বাবা পেশাগত কারণে বাড়ির বাইরে এবং মা সাংসারিক কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে অনিমেষ ওই মেয়েটির সঙ্গে খেলার ছলে তাকে গোয়াল ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর মেয়েটির রক্তক্ষরণ দেখে তার মা জানতে চাইলে সে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে তার মা রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে নগরীর পরশুরাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মেয়েটির রক্তমাখা কাপড় উদ্ধারসহ রাত ১০টার দিকে অনিমেষকে আটক করে।

রূপগঞ্জ : রূপগঞ্জে পোশাক শ্রমিক গণধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো, হাটিপাড়া এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে নাঈম, একই এলাকার আব্দুল বারেকের ছেলে বাদশা মিয়া ও সোনারগাঁয়ের লাদুরচর এলাকার দেলোয়ারের ছেলে হাবিবুর রহমান। তারা হাটিপাড়া এলাকার কামাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমদাদুল হক ভূঁইয়া জানান, গত ২৭ মে সন্ধ্যায় তারাব পৌরসভার আবদুল্লাহ স্পিনিং মিলেরশ্রমিক (১৬) কারখানা থেকে হাটিপাড়া এলাকার বাসায় ফেরার পথে নাঈম হোসেন, বাদশা মিয়া ও হাবিবুর রহমান তার পথরোধ করে। পরে তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ফেলে রেখে চলে যায়।

ধর্ষিতার গোঙানির শব্দ পেয়ে পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বুধবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করা হলে বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে।



 

Show all comments
  • Manjurul Alam Mamun ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    Very sad news
    Total Reply(0) Reply
  • Zara Khan ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 1
    খোলা বাড়িতে ৱান্না ঘৱ বাহিরে এতো রাতে রান্না করে সেহরি খেতে হবে কেন? আগে রান্না করে রাখলে কি খাওয়া যাই না ৷ একটু গরম খাওয়াৱ জন্য ইজ্জত দান দুটোই হারায় ৷
    Total Reply(1) Reply
    • MAHMUD ১ জুন, ২০১৯, ৭:০৯ এএম says : 4
      Nijer Barite ki rat, ki din no deference any time she can cooking. In front of Rapacious no have deference day and night. Mainly he is rapacious and culprit. Everybody want proper justice.
  • Maruf Ahmed ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    ঐ পিশাচকে প্রকাশ্য পাথর ছুড়ে হত্যা করা উচিত,পবিত্র রমজান মাসেও এমন ঘৃণ্য কাজ করে, এরা ফেরাউনের উত্তরসূরি। এদের নির্মম মৃত্যুর প্রয়োজন যা দেখে অন্যরা শিক্ষা নেবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhib Bin Habib ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    দেশটা জানোয়ারে ভরে গেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Sumon Ahamed ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    অত্যাচার আর অন্যায়ে ভরে গেছে এই দেশটা। আর কত?
    Total Reply(0) Reply
  • Jesmin Akter ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    এর কি কোনই প্রতিকার নাই কি করছে অামাদের দেশের সরকার? কেন এদের ফাঁসি দিচেছ না
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Khan ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটছে এদের তলা হাতালে দেখা যায় এরা ক্ষমতাসীন দলের লোক এরা জানে কেউ তাদের কিছু করতে পারবেনা তাই এরা বেপরোয়া
    Total Reply(0) Reply
  • Jalal Uddin Ahmed ১ জুন, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    Laws enforcing agencies or authorities should come forward to look into the issues for proper safety of victimized and punishments to culprits
    Total Reply(0) Reply
  • আকাশ ১ জুন, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    কেয়ামত চলে আসছে
    Total Reply(0) Reply
  • আকাশ ১ জুন, ২০১৯, ১:৫৬ এএম says : 0
    কেয়ামত চলে আসছে
    Total Reply(0) Reply
  • Tuhin ১ জুন, ২০১৯, ৮:১১ এএম says : 0
    কারাগারে নিক্ষেপ করা হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr. A Kh M Emdad Hossain ১ জুন, ২০১৯, ১২:১২ পিএম says : 0
    মিডিয়ায় সোসাল ডেভিয়েন্ট ডিজাইনারদের রিপ্রেজেন্টেশনই ( ইউটিউব) ড্রাইভার শ্রেণী/ ইতর শ্রেনীকে এই পথে নিয়ে যাচ্ছে এর সাথে আছে ভোট চুরিতে এদের লাঠিয়াল হিসেবেে ব্যবহার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ধর্ষণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ