পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের আগে বাজারে আরও এক দফা উত্তাপ বেড়েছে। গোশত এবং মাছের দাম বেজায় চড়া। বেড়েছে পেঁয়াজ, রসুন, আদা ও চিনির দাম। তবে সবজি ও ডিমের দামে কিছুটা স্বস্তি আছে। গতকাল শুক্রবার নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
রোজার শুরুতে বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে গরু গোশতের দাম বেধে দেয় প্রশাসন। বেধে দেয়া এ দামে কেউ গোশত বিক্রি করছে না। হাড়সহ গরুর গোশত ৫৫০ টাকা নির্ধারণ করা হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। আর হাড় ছাড়া সলিড গোশত প্রতিকেজি ৭০০-৭২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার বাজারভেদে দামের তারতম্যও রয়েছে। বাজারে গরু গোশতের দামে উত্তাপে বিরক্ত হয়ে নিজেদের উদ্যোগে গরু কিনে পাড়ায় মহল্লায় জবাই করে গোশত ভাগ করে নিচ্ছেন নগরবাসী। অনেক এলাকায় নিজেদের উদ্যোগে গরু জবাই করে গোশত বিক্রি চলছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ শবে কদরের দিন থেকে গরু গোশতের দাম আরও এক দফা বাড়বে। দেশি মুরগির কেজি রমজানের শুরুতে ৪০০ টাকা থাকলেও এখন ৫০০-৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার ১৬০-১৮০ এবং সোনালিকা ২৭০-২৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছের আকাল চলছে। ২০ মে থেকে বন্ধ রয়েছে সমুদ্রে মৎস্য আহরণ। ফলে হাটবাজারে সামুদ্রিক মাছ নেই। হিমায়িত ইলিশ, রুপচাঁদা ও পোয়া মাছ পাওয়া গেলেও দাম চড়া। মাঝারি সাইজের ইলিশ প্রতিকেজি ১০০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুপচাঁদা আকারভেদে ৯০০-১২০০ এবং পোয়া মাছ ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকার ভেদে চিংড়ি ৬০০ থেকে ১০০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পুকুর ও খামারের মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। রুই মাছ প্রতিকেজি ২৫০-২৮০, কাতল ২৮০-৩০০, কালিবাউশ ২৭০-২৯০, তেলাপিয়া ১৫০-১৮০, পাঙ্গাস ১৫০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি কৈ ৬০০-৭০০, শিং ৬৫০-৭০০, পাবদা ৫০০-৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজির দাম পড়তির দিকে। সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। ঢেড়স ৩০ টাকা, পটল ৩৫০-৪০ টাকা, বেগুন ৪৫-৫০ টাকা, তিতা করলা ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ঝিঙ্গে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, লাউ ৩০-৩৫ টাকা, লতি ৪০-৫০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৮০-১০০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা, ক্ষিরা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম আরও এক দফা বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫-২৮ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রসুন প্রতিকেজি ১১০-১২০ টাকা, আদা ১২০-১৩০ টাকা, চিনি প্রতিকেজি ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সেমাই, কিচমিচ, বাদামসহ ঈদে প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দামও দ্রæত বাড়ছে। তবে গুঁড়ো দুধ, চা পাতা, ভোজ্য তেল এবং চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।