Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নতুন হৃৎপিন্ড নিয়ে চোখ খুললেন অনুষা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

তাহলে বেঁচে গেলাম! অস্ফুট স্বরে বললেন অনুষা। তার ঘোলাটে দৃষ্টিতে বেঁচে থাকার আনন্দ সবাইকে নাড়িয়ে দিলো। বুধবারের ঘটনা। মুম্বাই থেকে একটা হৃদযন্ত্র এলো কলকাতায়। এর জন্যে বিমানবন্দর থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত তৈরি হলো গ্রিন করিডর। ব্রেন ডেথ ঘোষিত এক কিশোরের হৃৎপিন্ড বিমানযোগে আসবে, ওটাকে বসানো হবে এক মধ্যবয়সী নারীর বুকের খাঁচায়। অনুষার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছে ডায়লেটেড কার্ডিও মায়োপ্যাথি। তিনিও মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছেন। উড়ে এলো হৃৎপিন্ড। শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনার শেষে সফল অস্ত্রোপচারের ঘোষণা দিলেন চিকিৎসকরা। প্রায় ৪৮ ঘণ্টার নির্ঘুম অপেক্ষা। অবেশেষ চোখ খুললেন অনুষা। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তারকে দেখে বললে, তাহলে বেঁচে গেলাম! ১৪ মাস আগে হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন বছর ৪৪ বছরের অনুষা অধিকারী। চিকিৎসকরা প্রথমেই বুঝেছিলেন হৃদয় প্রতিস্থাপন ছাড়া কোনো উপায় নেই। গ্রহীতার নামও নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু, তিন থেকে চারবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েও বিফল হয়ে বাড়ি ফিরতে হয় অনুষাকে। কারণ, হৃদয় মেলা কী এতই সহজ! অবশেষে, দিন দশেক আগে আশার আলো দেখতে পান চিকিৎসকরা। দুর্ঘটনায় জখম ১৬ বছরের এক কিশোরের চিকিৎসা চলছিল মুম্বাইয়ের হাসপাতালে। শেষ পর্যন্ত তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত কিশোরের অঙ্গদানের জন্য সম্মতি জানান পরিজনরা। শুরু হয় খোঁজখবর। দেখা যায়, কলকাতার অনুষা অধিকারীর শরীরে ওই হৃদয় প্রতিস্থাপন সম্ভব। শুরু হয় অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি। মঙ্গলবার ভোরে প্রতিস্থাপন করা হয় হৃদয়। এবিপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ