Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশের বহুল আলোচিত শীর্ষ ইয়াবা কারবারি সাইফুল প্রকাশ হাজি সাইফুল করিম বন্দুকযুদ্ধে নিহত

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৯, ৩:১২ পিএম

দেশের বহুল আলোচিত শীর্ষস্থানীয় ইয়াবা কারবারি সাইফুল প্রকাশ হাজি সাইফুল করিম অবশেষে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে টেকনাফ স্থল বন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে।
টেকনাফের হাজি সাইফুল করিম (৪৫) হয়ত স্বপ্ন দেখছিলেন, সুপথে ফেরার। তাই জীবন রক্ষার তাগিদে চেয়েছিল আত্মসমর্পন করতে। হয়তো ওই চিন্তায় আত্মগোপন থেকে ধরা দেয় পুলিশের হাতে। তবু শেষ রক্ষা হলোনা।

গুলিবিদ্ধ ইয়াবা ডন সাইফুল করিমকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাত দেড়টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করে।
ঘটনাস্থল থেকে ৯ টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ৪২ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ, ৩৩ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের এসআই রাসেল আহমেদ (৩৫), কনস্টেবল ইমাম হোসেন (৩০) এবং কনস্টেবল মো. সোলেমান (৩৬) আহত হন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাজি সাইফুল করিম টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের শিলবনিয়াপাড়া গ্রামের ডা. হানিফের ছেলে। তিনি ইয়াবার কারণে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি এবং প্রশাসনের মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি। ২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১৫১ জনের মাদক কারবারির তালিকার এক নম্বরে ছিল এই সাইফুল।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন পূর্বে ইয়াবার একটি বড় চালান ইঞ্জিন চালিত বোটযোগে মায়ানমার হতে টেকনাফ সদর স্থল বন্দরের সীমানা প্রাচীরের শেষ প্রান্তে নাফ নদীর পাড়ে মজুদ করে। এর আগে গ্রেপ্তার করা হলে জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল করিম পুলিশকে এসব তথ্য দেয়।
ওসি জানান, তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ৩০ মে দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে উক্ত স্থানে পৌঁছলে সাইফুল করিমের সহযোগী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৫২ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এসময় ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। সাইফুল করিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ‘মৃত’ ঘোষণা করে।
সাইফুল করিম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ সকল গোয়েন্দা সংস্থার তালিকার ১নং ইয়াবা গডফাদার এবং বাংলাদেশের ১নং মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে টেকনাফ, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থানায় ৭টি মামলা রয়েছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছেন, মিয়ানমারের ইয়াবা কারখানার মালিকরা লাখ লাখ ইয়াবার চালান পাঠায় সাইফুলের কাছে। কারণ মিয়ানমারে স্থাপিত ৩৮টি ইয়াবা কারখানায় উৎপাদিত মাল বিক্রির একমাত্র মার্কেট হচ্ছে বাংলাদেশ। এই ইয়াবা ব্যবসার সুবিধার্থে মিয়ানমার-বাংলাদেশ চলাচলের জন্য একাধিক জাহাজও কিনেছিল সাইফুল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টেকনাফে প্রথম দফায় ১০২ জন ইয়াবাকারবারি আত্মসমর্পণ করার পর থেকে সাইফুল করিম আত্মসমর্পণের জন্য যোগাযোগ করে। দ্বিতীয় দফায় আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে সাইফুল করিমেরও নাম ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবারের বন্দুকযুদ্ধে সাইফুলের মৃত্যুতে সে সুযোগ আর রইলনা। আর এর মাধ্যমে দেশের এক ইয়াবা সম্রাটেরও পতন হলো।
দেশে ইয়াবা বিরোধী অভিযানের পর গা ঢাকা দেয় মোস্ট ওয়ান্টেড হাজি সাইফুল করিম। দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ঘুরে ঘুরে সময় কাটায়। সর্বশেষ বিশেষ কৌশলে আশ্রয় নেয় সীমান্তবর্তী দেশ মিয়ানমারে। মাসখানেক সময় ধরে ওখানে বেশ নিরাপদে ছিল সরকারের মাদক কারবারির তালিকার শীর্ষ স্থানীয় এই ব্যক্তি। গত ২৫ মে তাকে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কৌশলে দেশে আনা হয়। নেয়া হয় প্রশাসনের হেফাজতে। সেখানে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াবার চালানসহ চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দেয় হাজি সাইফুল।
সাইফুল করিমের ইয়াবা ব্যবসার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ছড়ানো ছিল টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত। ঘাটে ঘাটে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতেন। বিনিময়ে তার ‘সেইফগার্ড’ হিসেবে কাজ করতেন সুবিধাভোগী প্রভাবশালীরা। ওই তালিকায় রয়েছে- রাজনীতিবিদ, পুলিশ, সাংবাদিক।
সুত্র জানায়, টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির পাঁচ ভাই ও আত্মীয়দের বাইরে একমাত্র সাইফুলেরই রয়েছে নিজস্ব ইয়াবা সিন্ডিকেট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএসসি) ও গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় দেশের সবচেয়ে বড় ইয়াবার ডিলার এই সাইফুল করিম। ব্যবসাক্ষেত্রে সফলার জন্য ২০১৭ সালে খেতাব পান ব্যবসায়িক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) পদবী। মনে যান শত কোটি টাকার মালিক। অল্প সময়ের মধ্যে তাঁর এই ফুলে-ফেঁপে ওঠা আলাদিনের চেরাগের নাম ইয়াবা।
জানা গেছে, কক্সবাজারের ব্যায়বহুল এলাকা কলাতলী পয়েন্টে হোটেলও নির্মাণ করেছেন তিনি। রয়েছে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় বিস্তৃত তাঁর ব্যবসা। টেকনাফের বাসিন্দা হলেও বাস চট্টগ্রামে। ‘এস.কে. ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী তিনি। গার্মেন্ট, আমদানি-রপ্তানি, কার্গো ও জাহাজের ব্যবসা রয়েছে তাঁর। চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি ভিআইপি টাওয়ারে রয়েছে তাঁর একাধিক অভিজাত অ্যাপার্টমেন্ট।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মিয়ানমারের মংডুর প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে দেশে সরাসরি ইয়াবার চালান নিয়ে আসা এবং চট্টগ্রামে নিয়ে পাচার করার শক্তিশালী নেটওয়ার্ক রয়েছে সাইফুলের। তাঁকে আন্তর্জাতিক ইয়াবা কারবারিও বলা হয়।
২০০৭ সালেও সাইফুল করিম স্বল্প বেতনে একটি আড়তে কাজ করতেন। সেই সাইফুল এখন অডেল সম্পদের মালিক। প্রতিষ্ঠা করেছেন এস কে জি গ্রুপ নামে কোম্পানি।
গত বছরের ২৩ অক্টোবর টেকনাফে ইয়াবাবিরোধী শক্ত অভিযান শুরু করে পুলিশ। সেই অভিযানে হাজী সাইফুল করিমের রম্য অট্টালিকাসহ ইয়াবা কারবারিদের সুরম্য অট্টালিকাগুলোতে (ইয়াবা বাড়ি হিসাবে পরিচিত) আঘাত হানা শুরু করে। ওই সময় দুইদিনে পুলিশ টেকনাফ সীমান্তের ইয়াবা ডন সাইফুল করিমের বাড়িসহ তিনজন ইয়াবা কারবারির অট্টালিকা বুলডোজার দিয়ে আংশিক ভেঙ্গে দেয়া হয়।
এবার দেশ ইয়াবামুক্ত হবে?
সাইফুল করিম নিহতের ঘটনাটি মুহূর্তের মধ্যে দেশবিদেশে ছড়িয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মানুষ সাইফুলের মৃত্যু নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়। ফেসুবকের নানা জনের মন্তব্যে উঠে আসছে দেশের নাম্বার ওয়ান ইয়াবা ডন হাজী সাইফুল মারা গেলো। এবার কী তাহলে দেশ ইয়াবামুক্ত হবে? অনেকে প্রশ্ন রাখছে- টেকনাফে ইয়াবা বিরোধী অভিযানে এতো দিন যারা মারা গেছে তারা ছিলো ‘চুনোপুটি’। শীর্ষ ইয়াবা কারবারীদের কেউ মারা যায়নি। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় সচেতন লোকজন নানাভাবে বিরূপ মন্তব্যও করেছিল। এর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ‘তিরস্কার’ও করা হয়। তবে হাজী সাইফুল মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষের এই অভিযোগ ঠুনকো হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে দেখার আছে আরো শীর্ষ কারবারী যারা আছে কি হয়।

টেকনাফের হাজী সাইফুল করিম বেড়ে উঠেন চট্টগ্রামে। খাতুনগঞ্জের আওতাধীন কোরবানি গঞ্জ নামে এক এলাকায় সাইফুল করিমের বাবা ডাক্তার হানিফ পরিবার বসবাস করতেন। ইয়াবা জগতে প্রবেশের স্বল্প সময় আগ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম এমইএস কলেজে পড়াশোনা করতেন। এটি ১৯৯৭ দিকের কথা। চট্টগ্রামে বিভিন্ন এলাকার ‘নামিদামি’ লোকদের সন্তানদের সাথে সখ্যতা ছিল।

কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন থেকে তার বন্ধুদের নিয়ে গড়ে তুলেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট। প্রথম দিকে চট্টগ্রামের মূল শহরে তারা ইয়াবার বিকিকিনি শুরু করেন। খদ্দের বানানোর টার্গেট ছিলো যুবকদের। এভাবে সাইফুল করিম সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে পাইকারী ও খুচরাভাবে ইয়াবা বিক্রি শুরু করেছিলেন।

১৯৯৭-৯৮ সালের মধ্যে চট্টগ্রামে ইয়াবার বিশাল বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হন সাইফুলের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। কয়েক বছরের মাথায় চোখের সামনেই সাইফুল করিমও তার সিন্ডিকেটের সদস্যরাও কোটি টাকার মালিক বনে যায়। সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে শীর্ষে ছিলো তৎসময়ের দেওয়ান বাজারের ‘কিং’ ডেনি, একই এলাকার সাবেক কমিশনারের পুত্র ডিউক, কর্ণফুলী এলাকার হাজী আলী চেয়ারম্যান, রেল স্টেশন এলাকা ‘হোটেল গোল্ডেন ইন’ এর মালিক সোনা রফিক, চন্দনপুরার সন্ত্রাসী ছুট্টুসহ অন্তত ১৫/২০ জন। ইতিমধ্যে তারা হয়ে উঠেছিলেন সাইফুল করিমের অনেকটা সমমান কারবারী। তাদের আস্তানা ছিলো খাতুনগঞ্জের কোরববানি গঞ্জে অবস্থিত সাইফুল করিমদের ফার্মেসী এবং রিয়াজ উদ্দীন বাজারের হোটেল সখিনা। পরে সোনা রফিকের মালিকানাধীন ‘হোটেল গোল্ডেন ইন’কে আস্তানা গড়েছিলেন। সেখান থেকেই সিন্ডিকেট সদস্যদের মাধ্যমে ইয়াবা বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হতো।
তথ্য মতে, আস্তে আস্তে তারা চট্টগ্রামের বাইরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতেও ইয়াবা কারবার শুরু করে। প্রথম দিকে সাগর পথে চালান আনলেও ২০০৩ সালের দিকে সড়ক পথেই বেশি ইয়াবার চালান পাচার করতে থাকে সাইফুল করিমের সিন্ডিকেট। ইয়াবা রাজত্ব বাড়ার সাথে সাথে সাইফুল করিম ও তার সিন্ডিকেটের শীর্ষ সদস্যদের জৌলুশ ও বিলাসিতা বাড়তে থাকে। এর মধ্যে একটি রকি জীপ কিনেন সাইফুল করিম। ওই জীপ নিয়ে পুরো চট্টগ্রাম শহর ঘুড়ে বেড়াতেন। তখন বিভিন্ন সময় সাইফুল করিমের সাথে এমপি আবদুর রহমান বদিকেও (তখন এমপি ছিলেন না) দেখা যেতো। সাইফুল করিমের সাথে বদিকে কম হলেও ৩০/৪০ বার দেখেছেন বলে দাবি সাইফুল করিমের এই ‘ছোটভাই’। সেই সময় আবদুর রহমান বদিসহ সিন্ডিকেটের শীর্ষ সদস্যরা প্রায় সময় প্যারেড ময়দান, আন্দরকিল্লা ও চকবাজার মোড়ে আড্ডা দিতেন। তখন সাইফুল করিমের প্রধান হিসাব রক্ষক ছিলেন হ্নীলার মৌলভী ছৈয়দ। এভাবে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সমান তালে চলে সাইফুলদের ইয়াবা ব্যবসা। ইতিমধ্যে সারাদেশেই বিস্তৃত হয়ে গেছে নেটওয়ার্ক।
২০০৮ সাল থেকে ইয়াবা নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর হতে শুরু করে। সাইফুল করিম ও তার সিন্ডিকেট সদস্যরা পড়ে যায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে। তাদেরকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা থেকে সতর্কতা জারি করা হয়। এর মধ্যে সারাদেশজুড়ে ইয়াবা প্রকোপ বেড়ে গেলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আরো বেশি তৎপর হয়ে উঠে। এতে সতর্ক হয়ে যায় সাইফুল করিম ও তার অন্যান্য সহযোগিরা। এক পর্যায়ে ২০১০ সালের দিকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান জোরদার করে। এতে ভয় পেয়ে সিন্ডিকেটের শীর্ষ সদস্যদের প্রায় সবাই বন্ধ করে দেয় ইয়াবা ব্যবসা। তারা ইয়াবা ব্যবসার টাকা দিয়ে কিনতে থাকে নানা সম্পদ। শুরু করতে থাকে ভিন্নধাচের ব্যবসা। অধিকাংশই খাতুনগঞ্জে দাদন ব্যবসা শুরু করেন। কর্ণফুলীর হাজী আলী চেয়ারম্যান নিজ এলাকায় শুরু করেন বরফমিলের ব্যবসা। বর্তমানে কর্ণফুলীতে শীর্ষ বরফ ব্যবসায়ী তিনি। কয়েকজন চলে যান বিদেশে। সেখানে স্থায়ীভাবে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু সাইফুল করিম ফিরতে পারেনি। তিনি এবার কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে আঁড়ালে রেখে চালিয়ে যান ‘স্বাদের’ ব্যবসা। সাথে আমদানি ব্যবসা শুরু করেন তিনি। চট্টগ্রামে ‘বিণয় ফ্যাশন’ নামে একটি বিরাট কাপড়ের শো-রুমও খুলেন। এটি বর্তমানে তার ভাইদের নামে রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইয়াবা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ