মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শুধুমাত্র চকলেট কিনতেই একদিনে ৩০ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ৩২ লাখ টাকা ব্যয় করেছিলেন জামিরা হাজিয়েভা। এর আগে লন্ডনে বিলাসবহুল দোকান হিসেবে খ্যাত হ্যারডসে এক দশকে ১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১৭২ কোটি টাকা) ব্যয় করে আলোচিত হয়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের নতুন আইনে গঠিত আনএক্সপেক্টেড ওয়েলথ অর্ডার (ইউডাব্লিউও) এর সাথে আইনি লড়াই করছেন। সম্প্রতি ‘ইউডাব্লিউও’ আদালতে ২০০৬ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে তার ব্যয়ের তালিকা তুলে ধরে। এ ঘটনায় তাকে ব্যাখা করতে হবে এই অর্থের উৎস কী। সেটি করতে না পারলে সম্পদ হারানোর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন তিনি।
জামিরার স্বামী জাহাঙ্গীর হাজিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক অফ আজারবাইজানের চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০১৬ সালে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত সেই ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তার পনের বছরের জেল হয়। একই সাথে তাকে প্রায় চার কোটি ডলার ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো।
সাত বছর আগে ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডের একটি কোম্পানিকে এ দম্পতির পক্ষ থেকে একটি বড় বাড়ির জন্য দেড় কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছিলো। আর ২০১৩ সালে বার্কশায়ারের গলফ ক্লাব কেনার জন্য জামিরার কোম্পানি থেকে এক কোটি ডলার দেয়া হয়েছিলো। সম্পদশালী বিনিয়োগকারী হিসেবেই এ দম্পতিকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছিলো ব্রিটিশ হোম অফিস।
মূলত গত জুলাইয়ে আদালতে শুনানির সময় জামিরার অর্থ সম্পর্কে নানা তথ্য বেরিয়ে পড়ে। তার প্রায় পঁয়ত্রিশটি ক্রেডিট কার্ড রয়েছে, যার সবগুলোই তার স্বামীর ব্যাংক থেকে করা। সরকারি তথ্য থেকে জানা যায় যে, জামিরা প্রায় সাড়ে চার কোটি ডলার দিয়ে একটি জেট আর হ্যারডসের নিজস্ব পার্কিং থেকে দুটি পার্কিং এরিয়াও কিনে নিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
স্বামী ও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে জামিরা বলেছেন, তারা বড় অন্যায়ের শিকার। তিনি আদালতে বলেছেন তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী এবং ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই ব্যবসা করে সম্পদশালী হয়েছেন তিনি। যদিও ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি আদালতে জানিয়েছে হাজিয়েভা ১৯৯৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা ছিলেন। সূত্র : দ্যা টেলিগ্রাফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।