বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে যৌতুকের দাবীতে দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধুকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের ফলে ওই গৃহবধু উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সুস্থ্য হয়ে ফিরে এসে বিচারের দাবীতে ইউপি চেয়ারম্যান, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে অভিযোগ দিয়ে ৭দিনেও প্রতিকার পাননি। এই অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে, নাগদাহ গ্রামে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগদাহ গ্রামের আমজাদ হোসেনের পুত্র নুর আলম (৩৮) এর সাথে প্রায় ১৪ বছর পূর্বে একই ইউনিয়নের রাজবল্লভ গ্রামের আজিজল হকের কন্যা আরিফা বেগম (৩২) এর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সংসার জীবন চলাকালে যৌতুক দাবী করে স্বামীর পরিবারের লোকজন প্রায় সময় তাকে নির্যাতন করে আসতো। ঘটনার দিন ১ মে রাতে ওই গৃহবধুকে স্বামী নুর আলম, শ্বশুর আমজাদ হোসেন, শ্বাশুড়ী নুর নাহার বেগম যৌতুকের দাবীতে নির্মমভাবে অত্যাচার করে। এ সময় স্বামী নুর আলম গৃহবধুর তলপেটে লাথি মারলে গোপনাঙ্গ দিয়ে রক্ত ক্ষরন হতে থাকে। গৃহবধুর অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা সংকটাপর্ণ হওয়ায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাতপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে এসে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, থানার অফিসার ইনচার্জ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে অভিযোগ দেয়ার ৭দিন পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ওই গৃহবধু বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। এই প্রতিবেদকের সাথে বুধবার (২৯ মে) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে নির্যাতিত গৃহবধু আরিফা বেগমের কথা হলে কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, দীর্ঘদিন অসুস্থ্য থাকার পরে কিছুটা সুস্থ্য হয়ে বিচারের আশায় সকলের কাছে ঘুরছি। কিন্তু কোথাও বিচার পাচ্ছি না। আমাকে প্রায় সময় মারপিট করলেও দুই সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অনেক সহ্য করেছি, আর না। এই অমানবিক নির্যাতনের বিচার চাই।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, গৃহবধুর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাদের জানান, নির্যাতিত গৃহবধুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উলিপুর থানাকে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।