পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট এম. আবদুল হামিদ বিরোচিত কাজ, মেধা এবং বিচক্ষনতার মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিমিশনে দেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী বাহিনীর উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিকামী দেশ। আমার ধারনা, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা তুলে ধরার মাধ্যমে একটি শান্তি প্রতিষ্ঠিত দেশ হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাজ করে যাবে।
প্রেসিডেন্ট হামিদ আর্ন্তজাতিক শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে আজ নগরীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রেসিডেন্ট অন্যান্য দেশের শান্তিরক্ষীদের সাথে প্রতিযোগিতায় আইটির উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের তথ্য ও প্রযুক্তি এবং কারিগরি বিশেষজ্ঞ হওয়ার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশন এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশ গ্রহণ দেশটিকে বিশ্বব্যাপি একটি মর্যাদার অবস্থানে পৌঁছে দিয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীরা দেশের অর্থনীতিতে এবং দ্বিপক্ষীয় ও বহুমুখী কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে বিশেষ অবদান রাখছে।
প্রেসিডেন্ট ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে সারাবিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষা ব্যাক্ত করেছিলেন। আবদুল হামিদ বলেন, এর পর থেকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিমিশনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে বিভিন্ন শান্তিকামি ও বন্ধুপ্র্রতিম দেশের সংঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বজায় রাখছে।
তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মালি, কংঙ্গো এবং লেবাননে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি তাদের কুশলাদি সম্পর্কে খোজ খবর নেন। এর আগে তিনি বিভিন্ন জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের কর্মকান্ডের ওপর নির্মীত একটি প্রামান্যচিত্র দেখেন। মন্ত্রী, কূটনীতিকগণ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, সংসদ সদস্যবর্গ, পুলিশের আইজি, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ এবং প্রেসিডেন্টের সচিবগণ উপস্থিত অনুষ্ঠানে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।