Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র, প্রত্যাখ্যান তেহরানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন হঠাৎ করেই সুর নরম করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাপান সফররত ট্রাম্প সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ইরানে আমরা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন চাই না। এমনকি আমরা কোনো পরমাণু অস্ত্রও খুঁজছি না। তেহরান চাইলে আমরা এখনও নতুন করে পরমাণু চুক্তি করতে পারি। টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সংকটের প্রসঙ্গ আসলে এমন দাবি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চার দিনের সরকারি সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এখন জাপানে অবস্থান করছেন। সেখানে ট্রাম্পকে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দেয় জাপান। শিনজো আবে ট্রাম্পের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। এ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন এবং তেহরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার কথা বলেছেন এবং আমি বিশ্বাস করি ইরান জাপানের এ কথা রাখবে। সরকারি সফরে গিয়ে ট্রাম্প এও বলেন, আমরা দেখছি, কী ঘটতে যাচ্ছে। কেউই ভয়ানক কিছু দেখতে চায় না। বিশেষ করে আমিও এ ধরনের কিছু দেখতে চাই না। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বলছে, যদিও ট্রাম্প শান্তির কথা বলছেন, কিন্তু ইরানের সঙ্গে ‘যুদ্ধের বার্তা’ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র এবং সেনাসদস্য পাঠানো তিনি বন্ধ করছেন না। অপরদিকে, ইরান কোনো ধরনের পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না দাবি করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বহু বছর আগেই পরমাণু অস্ত্র তৈরি, সংরক্ষণ ও ব্যবহার ‘হারাম’ বা ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ বলে ফতোয়া দিয়েছেন। ইরান সরকার সর্বোচ্চ নেতার এ ফতোয়া মান্য করছে। জাপানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা জানালেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এক প্রতিক্রিয়ায় জারিফ এক টুইটবার্তায় বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বক্তব্য সত্য নয়। কারণ সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশ মেনে ইরান সামরিক কাজে পরমাণু কর্মসূচি থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে। এর আগে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও আরব আমিরাতের যুবরাজ বিন জায়েদকে বি-টিমের চার সদস্য বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ইরানী পররাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, জাপানে যাওয়ার আগেও পারস্য উপসাগরে আরও দেড় হাজার সৈন্য পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তুতি হিসেবে ‘তুলনামূলক ছোট’ পদক্ষেপ এটি। এ ছাড়া তার নির্দেশে পারস্য উপসাগরে অবস্থান করছে মার্কিন এয়ারক্রাফট বাহক স্ট্রাইক গ্রুপ, বি-২৫ বোমা হামলার দ্রুততম স্থাপনাসহ বড় ধরনের সামরিক শক্তি। অবশ্য ট্রাম্প শুরু থেকেই বলে আসছেন ইরানের সঙ্গে তারা যুদ্ধে যেতে চান না। শুধু মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ বাঁচিয়ে রাখতে তৎপর। রয়টার্স, পার্সটুডে।



 

Show all comments
  • Masud Rana ২৯ মে, ২০১৯, ২:৫৬ এএম says : 0
    যদি যুদ্ধ হয় সেটার শেষ বিজয় হবে ইরানের আর সেটা হবে মহা যুদ্ধ
    Total Reply(0) Reply
  • Osman Hossain ২৯ মে, ২০১৯, ২:৫৭ এএম says : 0
    আল্লাহ ইরানকে সাহায্য করো
    Total Reply(0) Reply
  • Faruque Siddiquee ২৯ মে, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
    দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে বাঁচার জন্য বেপরওয়া হওয়াই স্বাভাবিক।তবে বুদ্বিমত্তা ও কৌশল হারালে চলবেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • আ.স.ম. শাহরিয়ার চৌধুরী ২৯ মে, ২০১৯, ২:৫৮ এএম says : 0
    ইরান বপ্লবের পর থেকেই বৈশ্বিক রাজনীতির রক্তচক্ষু ইরানের দিকে,তবুও সত্যের বিজয় হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Faruk Ahmed ২৯ মে, ২০১৯, ২:৫৯ এএম says : 0
    মুসলমানদের দুর্ভাগ্য তাদের নিজেদের পারস্পরিক অনৈক্য। তাদের ঐক্য যদি বুনিয়ামিম মারসুস হতো তাহলে ইজরাইল আর ট্রাম্পের আমেরিকা মুসলিম স্বার্থের বিরুদ্ধে কথা বলতে শতবার চিন্তা করতো।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ