মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের অন্তত দুই ডজন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে আরাকান আর্মি (এএ)। চিন রাজ্যের পালেতওয়া টাউনশিপের কাছে রোববার ওই সংঘর্ষ হয় বলে এএ’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এএ জানায়, তারা রোববার সকালে পালেতওয়া মং না মা গ্রামের পাশ দিয়ে কালাদান নদী পথে চারটি বোটে করে অগ্রসর হওয়া একটি সেনাবহরের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় দুটি বোট পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় এবং বন্দুক যুদ্ধে অন্তত ২০ জন সেনা নিহত হয়েছে। উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী চিন রাজ্যের লাইট ইনফেনট্রি ডিভিশন নং ১১-এর অধীন মন রাজ্যভিত্তিক লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটালিয়ন নং-২১৮-এর অধীনে ছিলো আক্রান্ত সেনারা। এএ’র ব্যাটল আপডেটে বলা হয়েছে, কালাদান নদীর ভাটির দিকে ২০ সেনার লাশ ভেসে গেছে এবং সংঘর্ষে একজন এএ বিদ্রোহী নিহত হয়। পালেতওয়ার ১৫ মাইল উত্তরে মং না মা’র অবস্থান। সেখানে শহর ও গ্রামের মধ্যে সড়ক পথে কোন সংযোগ নেই। ফলে স্থানীয় অধিবাসীরা পণ্য আনানেয়ার ক্ষেত্রে মূলত নদী পথের উপর নির্ভর করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মি ওয়া গ্রামের এক অধিবাসী দি ইরাবতীকে বলেন, এএ’র সঙ্গে সংঘর্ষের কারণে নদীর মাঝখানে একটি বোট ডুবে গেলে বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়। তিনি আরো জানান যে, সেনা পরিবহনের সময় মং না মা গ্রামের বোট অপারেটর উ ইয়ান দোয়ের পায়ে গুলি করা হয়। তাকে চিকিৎসার জন্য সোমবার সকালে পালেতওয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রামের কাছে লড়াই শুরু হলে অনেক গ্রামবাসী নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য পালিয়ে যায়। তবে মং না মা গ্রাম থেকে কতজন পালিয়ে গেছে তা পরিস্কার নয়। মি ওয়া গ্রামের এক লোক জানান, বর্তমানে এএ কালাদান নদীপথ নিয়ন্ত্রণ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিন রাজ্যের কেউ এই পথে যাতায়াত করে না। এএ’র উপপ্রধান বিগ্রেডিয়ার নিও তুন অং বলেন, ১০-১৫ সেনা বহনকারী অন্তত একটি বোট বন্দুকযুদ্ধের সময় ডুবে গেছে। দ্বিতীয়টি ধ্বংস হয়ে গেলেও পারে পৌছাতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, আমরা এখনো পুরো প্রতিবেদন পাইনি। তবে আমি যেটুকু বলতে পারি তাহলো দুই থেকে তিন জন উচ্চ পদস্থ অফিসার নিহত হয়েছে। শক্তি বৃদ্ধির জন্য নদীপথে লাইট ইনফেনট্রি ব্যাটলিয়ন নং ২১৪ নিয়ে আসার পর রোববার পুরোদিন এএ’র সঙ্গে লড়াই চলে। দ্বিতীয় লড়াইয়েও এএ’র স্নাইপার ও কমান্ডোরা প্রায় ২০ জন সেনা সদস্যকে হত্যার দাবি করে। সোমবার কমান্ডার ইন চিফের দফতরের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন গুলিতে কিছু সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে হতাহতের বিস্তারিতজানাতে অস্বীকার করেন তিনি। গত সপ্তাহে একই টাউনশিপের কাছে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন চান থা উইন (২৩)-কে গুলি করে হত্যা করে এএ বিদ্রোহীরা। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।