পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগের কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেয়া এবং আন্দোলনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন সংগঠনটির পদবঞ্চিত কাক্সিক্ষত পদ না পাওয়া নেতারা। দাবি আদায় না হলে এবারের ঈদের দিনও রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে বঞ্চিতদের আন্দোলনের মধ্যেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। গতকাল সোমবার দুপুরে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর নেতৃত্বে ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট নতুন কমিটি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে যান। এসময় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাকর্মীরা ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন শাখার নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের কাউকে সেখানে দেখা যায়নি।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পদবঞ্চিত নেতারা রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি আদায়ের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বিতকির্তদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেয়ার কর্মসূচির বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের তীব্র সমালোচনা করেন তারা।
ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে একাধিক বিবাহিত, মাদকাসক্ত, অছাত্র, ব্যবসায়ী, জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্তদের অবস্থান আছে অভিযোগ করে গত ১৩ মে পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দেয়ার পর থেকে এই অংশটি আন্দোলন করছেন। আগের রাতে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়া হবে এমন খবরে তারা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান নেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক শেখ নকিবুল ইসলাম সুমন। এ সময় পদবঞ্চিত নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, যদি আমাদের এই সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান না দেয়া হয় তাহলে ঈদের দিনও আমরা রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান করব।
তিনি বলেন, গত ১৯ মে রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আমাদের ডাকা হয়। আমরা তাদের সাথে দেখা করে ঘটনার সবিস্তার বিবরণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ কামনা করি। কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে তদন্তের মাধ্যমে ত্যাগীদের মূল্যায়ন ও হামলাকারীদের বিচার দাবি করি। আওয়ামীলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আমাদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করি। কিন্তু আমরা দেখেছি, হামলার ঘটনায় যারা ভুক্তভোগী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ধানমন্ডি ৩২-এর মত পবিত্র জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে বিতর্কিত ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদন বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার শামিল বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, কমিটি থেকে বাদ দেয়ার নির্দেশ যেমন প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, ফুল দেয়ার নির্দেশও তিনিই দিয়েছেন। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। যারা আন্দোলন করছে, তারা তো আরও বেশি বিতর্কিত। যেসব বিতর্কের কথা তারা বলেছে রাজু ভাস্কর্যে যারা বসে আছে তাদের প্রত্যেকের নামেই এমন বিতর্ক আছে। তাদের অনেকের আমলনামা আমাদের কাছে এসেছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।