বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এখন ব্রাক, গ্রামীণ এবং উদ্দীপন বেসরকারি এনজিও কর্মকর্তাদের হাতে। প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে এনজিও কর্মীদের নিয়োগ দিচ্ছেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড, মিহির কান্তি মজুমদার ও প্রকল্পের পরিচালক আকবার হোসেন।
দেশের প্রতিটি বাড়িকে খামারে রুপান্তর করার স্বপ্ন নিয়ে বর্তমান সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে করার জন্য প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। কিন্তু এ নির্দেশনা অনমান্য করে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পদ্দোন্নতি না দিয়ে বিধিমালা বর্হিভুতভাবে বেসরকারি এনজিও থেকে লোক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকল্পের ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড, মিহির কান্তি মজুমদার ও প্রকল্পের পরিচালক আকবার হোসেনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিবকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। এদিকে প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দেয়া এঘটনায় উচ্চ আদালতে দুই রীট পিটিশন দাখিল করেছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, অনেকর প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। বাকি গুলো পরে দেয়া হবে। ব্যাংকের লেনদেন বন্ধ করা হয়নি।
গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র মানুষের জন্য এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের প্রথম প্রকল্পটি। বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিগুলো হচ্ছে- প্রকল্পের কর্মকর্তাদের সঠিক ভাবে পদোন্নতি না দেয়া, ব্যাংকে টাকা সঠিক ভাবে লেন দেন না, ঋণখেলাপি বৃদ্ধি, ঋণের সঠিক ব্যবহার না হওয়া, ঋণের সীমাবদ্ধতা, ঋণ পেতে দীর্ঘসূত্রতা, ঘন ঘন নীতিমালা পরিবর্তন, ঋণ ফেরত না পাওয়া, স্বেচ্ছাচারিতা ও প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন। এ ছাড়া নানা দুর্বলতার কারণে প্রকল্প এবং ব্যাংকে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম।
প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিবের স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার পদে সরাসরি জনবল নিয়োগ বিঞ্জপ্তি নিয়ে প্রকল্পের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। তাই এ ব্যাংকের ৫১৮টি পদে সংখ্যার মধ্যে ৫০ ভাগ সরাসরি নিয়োগ যোগ্য এবং বাকি ৫০ ভাগ অফিসার সাধারন পদের মধ্য থেকে পদোন্নতি মাধ্যমে পুরণ করতে হবে। এছাড়া ৬১৮টি পদে মধ্যে ৫০ভাগ সরাসরি নিয়োগ হবে। আর ৩৪০টি পদে প্রকল্পের কর্মর্কাদের মধ্যে পদোন্নতি দিতে হবে। যা প্রকল্প থেকে ব্যাংকে কর্মকর্তা নিয়োগ হলে তাদের মধ্যে হতে পদোন্নতির মাধ্যমে পূরুণ হবে। কিন্তু ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও প্রকল্পের পরিচালক তা না করে এনজিও কর্মীদের নিয়োগ দিয়ে আসছেন।
মন্ত্রণালয়ের অভিযোগে বলা হয়েছে, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে দরিদ্রতার হার শতকরা ১০-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল সরকার। দারিদ্র্য বিমোচন স্বপ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ নেয়া এই ক্ষুদ্র সঞ্চয় মডেলের প্রকল্প এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। দেশের ৬৪ জেলায় ৪৮৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ৫০৩টি ইউনিয়নের দুই হাজার সমিতি।
প্রকল্প পরিচালক আকবার হোসেন ইনকিলাবকে বলেন, প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেয়ার পরে অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে হবে। তা না করে চেয়ারম্যান সরাসরি নিয়োগ দিয়েছে। এখনো আমার করার কিছুই নাই। অন্য দিকে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক প্রকল্পের টাকাও অনলাইনের লেনদেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ১৬টি বেসরকারি ব্যাংকে প্রকল্পের টাকা রেখে বন্ধ করে দিয়েছে ঋণ এবং বঞ্চিত করছে এক কোটি গরিব সদস্যকে। অন্যদিকে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এখন ব্রাক, গ্রামীণ এবং উদ্দীপন বেসরকারি এনজিও লোকজনকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।