নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মৌসুমের শেষ শিরোপাটা জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হতাশা ভুলতে চেয়েছিল বার্সেলোনা। ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে এই বার্তাই দিয়েছিলেন দলপতি লিওনেল মেসি। কিন্তু ভ্যালেন্সিয়া তা হতে দিলো না। উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে কাতালান জায়ান্টদের হতাশায় ডুবিয়ে কোপা ডেল রে’ শিরোপা জিতে নিয়েছে ভ্যালেন্সিয়া।
ট্রেবল জয়ের অভিলাষ নিয়ে মৌসুম শুরু করেছিল বার্সেলোনা। চার ম্যাচ আগেও এর সবকিছুই ঠিক ছিল। তিন ম্যাচ হাতে রেখে লা লিগা শিরোপা ধরে রাখার নিশ্চয়তা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে লিভারপুলকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। কে বলবে এই দল ট্রেবল জিতবে না! কিন্তু হঠাৎই স্বপ্নের রাজ্য থেকে বাস্তবে নেমে আসতে হয়েছে মেসি-সুয়ারেজদের। অ্যানফিল্ডে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফিরতি পর্বে অবিশ্বাস্য ৪-০ গোলের হারে ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন ভাঙ্গার পর আশা ছিল কোপা দেল রে’ দিয়ে ‘ঘরোয়া ডাবল’ জয়ের মাধ্যমে মৌসুম শেষ করার। কিন্তু টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে নবরূপ পাওয়া ভ্যালেন্সিয়া।
পরশু রাতে নিরপেক্ষ ভেন্যু সেভিয়ার মাঠে অনুষ্ঠেয় ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জেতে ভ্যালেন্সিয়া। প্রতিযোগিতায় এটি তাদের অষ্টম শিরোপা। এর আগে সর্বশেষ শিরোপাটি তারা জিতেছিল ২০০৭-০৮ মৌসুমে।
কেভিন গামেইরো ও রডরিগোর গোলে ৩৩ মিনিটেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। লিওনেল মেসির ৭৩ মিনিটের গোলে বার্সেলোনা ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত আর পেরে উঠেনি। শেষ ১৭ মিনিট ভ্যালেন্সিয়াকে অবশ্য সবদিক থেকে চেপে ধরেছিল লা লিগার চ্যাম্পিয়নরা। মেসি কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করেন, একবার তাকে বঞ্চিত করে পোস্ট। সুযোগ নষ্ট করে ভ্যালেন্সিয়াও। ইনজুরির কারণে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন, লুইস সুয়ারেজ ও ওসমানে ডেম্বেলেকে ছাড়াই মূল একাদশ সাজাতে বাধ্য হয়েছিলেন বার্সা কোচ।
জানুয়ারিতে ১৫ ম্যাচ শেষে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়া যখন রেলিগেশন জোন থেকে মাত্র চার পয়েন্ট দুরে ছিল তখনই কোচ মার্সেলিনো গার্সিয়া বরখাস্তের বিষয়টি আলোচনায় উঠে এসেছিল। সেই দলটিই আসছে মৌসুমে খেলবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। বোনাস হিসেবে বার্সেলোনাকে হারিয়ে কাপ শিরোপা জয়। একটি ক্লাবের জন্য এর থেকে বেশী প্রাপ্য আর কি হতে পারে। ফাইনাল শেষে উচ্ছ¡সিত মার্সেলিনো বলেন, ‘আমাদের নিজেদের ওপর সবসময়ই আস্থা ছিল। বার্সেলোনাকে পরাজিত করে কাপ শিরোপা জয় সত্যিই অসাধারন। এই জয়টা আমাদের প্রাপ্য ছিল।’ ২০বারের প্রচেষ্টায় এসে বার্সাকে হারানো এই কোচ যোগ করেন, ‘কঠিন মুহূর্তে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।’ আর অধিনায়ক ডানি পারেজোর ভাষায়, ‘আমরা ইতিহাস রচনা করেছি।’
এর আগে শুক্রবার মেসি স্বীকার করেছিলেন তার দল এখনো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হতাশা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। যে কারনে মানসিকভাবেও দলকে চাঙ্গা রাখাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। বার্সা কোচ ভালভার্দেকেও এই পরিস্থিতিতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন মেসি। তবে পরপর দুটি দুঃখজনক পরাজয়ের পর লিগ শিরোপা ঘরে আসলেও ভালভার্দের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। ভালভার্দে বলেন, ‘আমি ভাল আছি। একজন কোচ যখন পরাজিত হয় তখন দ্রুতই তা থেকে সরে এসে পরবর্তী চ্যালেঞ্জের চিন্তা করে। আমি জানি এই ক্লাবটির জন্য পরাজয় বিষয়টা বেশ হতাশার।’ ক্লাব সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তামেউ বলেছেন, ‘আমি মনে করি না এটা কোচের ভুল।’ বার্সা তারকা জেরার্ড পিকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ঠ করেছেন। সবকিছু সবসময় তার উপর নির্ভর করে না।’
অনেকে বার্সার এই হারকে মনস্তাত্বিক পরাজয় বলে অবিহিত করেছেন। এমন প্রশ্নে ভালভার্দে বলেন, ‘আমরা হেরেছি, কিন্তু কোনো মনস্তাত্তি¡ক কারণে নয়। সপ্তাহ দুয়েক আগে আমরা যে ম্যাচটি খেলেছিলাম, এটা তার থেকে ভিন্ন। কিন্তু আমরা আবারও হেরেছি, এটাই সত্যি।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমরা আমাদের নিজেদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমরা লিগ শিরোপা জিতলাম, আমরা ভেবেছিলাম, আমরা হয়তো তিনটি শিরোপা জয় করতে পারব। কিন্তু আমরা প্রতিযোগিতাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে পথ থেকে ছিটকে গেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।