Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাছের ডিমের নমুনা মিলেছে হালদায়

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৯, ১২:০২ এএম

বৃষ্টি আর বজ্রপাতের প্রভাবে মিষ্টি পানির নদী এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে।
গতকাল শনিবার ভোরের দিকে এ নমুনা পাওয়া যায়। নদীতে মা মাছের ডিমের নমুনা দেয়ার খবর ডিম সংগ্রহকারীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে হালদা তীরবর্তী সংগ্রহকারীরা ডিম ধরার নৌকাসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিয়ে নদীতে নেমে পড়েন। নদীতে জাল ফেলে কয়েক ঘণ্টা রাখার পর জাল তুলে এই ডিমের নমুনা দেখতে পায়। তবে মা মাছ পুরোদমে ডিম ছাড়েনি।
আমাবশ্যার পূর্ণিমার তিথি না থাকায় নদীতে মা মাছ পুরো দমে ডিম ছাড়েনি বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। আমাবশ্যা ও পূর্ণিমা তিথি না থাকলেও বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় ডিম সংগ্রহকারীরা মনে করেছিলেন মা মাছ ডিম ছাড়বে। কিন্তু এবারও ডিম সংগ্রহকারীদের কপালে জুটেনি সেই কাঙ্খিত মা মাছের ডিম। হালদা নদীতে বৃষ্টি আর মেঘের গর্জন হলেও মা মাছের ডিম দেয়ার উপযুক্ত সময় না হওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পরিমানে ডিম ছাড়েনি।
গতকাল শনিবার হালদা নদীর নতুনহাট, আজিমের ঘাট, আমতোয়া, সিপাহীর ঘাটসহ বেশ কয়েকটি স্পটে ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। প্রতিটি নৌকায় ১০গ্রাম থেকে ১৫ গ্রাম পর্যন্ত মা মাছের ডিমের নমুনা পাওয়া গেছে বলে জানা যায়। তবে এই নমুনা তেমন সুবিধাজনক হবেনা বলে জানিয়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। এই ডিমের নমুনাকে ঘিরে বেশ কয়েকজন কুচক্রি মহল নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে এমন গুজব ছড়িয়ে হালদা নদীর আসল ডিমের ও পুনাকে নকল করে বাজারজাত করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
মূলত হালদা নদীতে এ বছর মা মাছ পুরো দমে ডিম দেয়নি। পূর্ণিমা ও আমাবশ্যার মাঝামাঝিতে গতকাল বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলেও মা মাছ ডিম না দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। ঈদের আগে পূর্ণিমার তিথিতে এই মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে মাছেরা ডিম দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ডিমসংগ্রহকারী। শুক্রবার বৃষ্টি ও বজ্রপাত হওয়ায় শনিবার ভোর সকাল থেকে হালদা নদীর আশে-পাশে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির পেটে ডিমওয়ালা মাছে উজানে ভেসে উঠে ধানি জমিতে আটকা পড়ে। আটকা পড়া মাছগুলোর ওজন আনুমানিক ৮ থেকে ১২ কেজি। গতকাল ধানি জমিতে আটকা পড়া বেশ কয়েকটি বড় আকারের মা মাছ হাটহাজারীর কয়েকটি বাজারে বিক্রি হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এই মা মাছগুলো হালদা নদী থেকে উজানে উঠে ধানি জমিতে চলে আসে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.আজহারুল আলম হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে কিছু কিছু ডিম সংগ্রহকারী ডিমের নমুনা সংগ্রহ করেছেন বলে আমি শুনেছি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাছের ডিম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ