নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে ধর্তব্যের মধ্যে রাখছেন না বিশ্লেষকরা। ওয়ানডে ক্রিকেটে তাদের সাম্প্রতিক বাজে ফর্মই হয়ত এজন্য দায়ী। তবে ভিন্ন কথা বলছেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানের বিপক্ষে সব দলকেই স্বতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।
সা¤প্রতিক সময়টা পাকিস্তানের খারাপ গেলেও তারা যেকোন প্রতিপক্ষকে গুড়িয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে বলে মনে করেন সাঙ্গা, ‘পাকিস্তান সবসময়ই কঠিন একটি দল। ফেভারিটের তালিকায় না থাকলেও, একেবারেই শেষ মূর্হুতে জ্বলে উঠতে সক্ষম তারা। তাই পাকিস্তানকে নিয়ে সব দলেরই সর্তক থাকা প্রয়োজন।’
সর্বশেষ ১১ ওয়ানডে কোন জয় নেই পাকিস্তানের (একটি পরিত্যক্ত)। ওয়ানডেতে পাকিস্তানের সর্বশেষ জয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে। আর ২০১৮ সালের জুনের পর কোন দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বা টুর্নামেন্টে জয় পায়নি পাকিস্তান। এশিয়া কাপে ব্যর্থ, নিউজিল্যান্ডের সাথে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ হার, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৫-০ ব্যবধানে হার, ইংল্যান্ডের কাছে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হার। এই হলো সা¤প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বর্তমান চিত্র। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে অনেকই দুর্বল মনে করছেন। কিন্তু সেই তালিকায় নেই সাঙ্গাকারা।
পাক প্যাশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সা¤প্রতিক ফর্মে পাকিস্তানকে দুর্বল ভাবলে ভুল হবে। যেকোন দলের চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী তারা। তারা পেছন থেকেই শুরু করে বড় বড় সাফল্য অর্জন করে নেয়। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিই সেই প্রমান দেয়। তাই পাকিস্তানকে সহজ ভাবে নেয়ার কোন কারনই নেই। পাকিস্তানকে নিয়ে সবার সর্তক থাকতে হবে।’
লিগ পর্বে ভালো বা খারাপ খেলুক, নক-আউট পর্বে পাকিস্তান পৌঁছে গেলে তাদের আটকানো কঠিন হবে বলে মনে করেন সাঙ্গাকারা, ‘পাকিস্তান সবসময়ই অধারাবাহিক দল। কিন্তু তারা যদি নক-আউট পর্বে পৌঁছে যায়, তখন তারা আরও বেশি অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। যেকোন দলকে হারিয়ে দিতে পারে।’
পাকিস্তানের বোলারাদের আর উন্নতির প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে টানা চার সেঞ্চুরির মালিক, ‘ইংল্যান্ডের মাটিতে সর্বশেষ সিরিজে পাকিস্তানের বোলাররা ভালো করতে পারেনি। সবগুলো ম্যাচেই তিনশ’র উপর রান তারা দিয়েছে। তাই বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বোলাদের আরও উন্নতি করতে হবে এবং ভালো পারফরমেন্স করতে হবে।’
গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে নিজেদের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে পাকিস্তান। এরপর ২৬ মে কার্ডিফে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে তারা। ৩১ মে নটিংহ্যামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মূল লড়াই শুরু করবে বিরানম্বইয়ের চ্যাম্পিয়নরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।