মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশের অধিকারকে সম্মান না জানালে কোনও অবস্থাতেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না ইরান। বৃহস্পতিবার দেশটির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে একথা জানানো হয় বলে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র কিভান খোসরাভি বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের দেশের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো হচ্ছে, যতক্ষণ পর্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ কর্মকান্ড পরিহার করা না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের বর্তমান অবস্থানে অটল থাকবো। আমাদের অধিকারকে সম্মান জানাতে হবে, তারপরেই হবে আলোচনা। এ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানায়, এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কোন অবস্থাতেই আলোচনা হবে না। খোসরাভি বলেন, আলোচনায় বসার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা তেহরান সফর করছেন। তাদের অধিকাংশই আমেরিকার পক্ষ থেকে আসছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে আমরা ইরানের নীতি অনুযায়ী তেহরানের যুক্তি তুলে ধরে সাড়া দিয়েছি। ইরনার খবরে বলা হয়, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, বোমা মারলেও ইরান নতি স্বীকার করবে না। বৃহস্পতিবার ইরান-ইরাক যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একদল সৈনিকের সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেছেন। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা যখন বেড়ে উঠছে তখন তিনি এ মন্তব্য করলেন। রুহানি বলেন, ‘এই প্রবল নিষেধাজ্ঞার এক বছরেরও বেশি সময় পর আমাদের জনগণ তাদের জীবনে সমস্যা মোকাবেলা সত্তে¡ও তাদের মাথা নত করেনি।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের সহনশীলতা প্রয়োজন, যাতে আমাদের শত্রুরা জানতে পারে তারা যদি আমাদের ভূমিতে বোমা ফেলে এবং আমাদের শিশুরা শহীদ, আহত অথবা কারাবন্দী হয় তারপরেও আমরা স্বাধীনতার জন্য এবং আমাদের গর্বের জন্য আমরা উদ্দেশ্য থেকে সরে আসব না।’ ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘১৯৮০’র দশকে ইরাকের তৎকালীন স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধের সময় ইরানি ভূখন্ড হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আজ ইরান একটি অর্থনৈতিক যুদ্ধের মোকাবিলা করছে এবং এই দেশের জনগণের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কেড়ে নেয়ার পাঁয়তারা চলছে।’ স¤প্রতি ইরানকে নিয়ে উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি। চলতি মাসের প্রথম দিকে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধজাহাজ ও প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে ইরানের সঙ্গে সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেছেন,‘ইরান যদি যুদ্ধ চায়, তাহলে সেটিই হবে ইরানের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি। যুক্তরাষ্ট্রকে কখনোই হুমকি নয়!’ এর জবাবে ইরানের সুপ্রিম ন্যাশনাল কাউন্সিলের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরান কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে না। এএফপি, ইরনা, পার্সটুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।